শেয়ার বাজার

২০২৩—২৪ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে বাজুস-এর প্রস্তাবনা

২০২৩—২৪ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে বাজুস-এর   প্রস্তাবনা
জাতীয় অর্থনীতি

সারাদেশের প্রায় ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন— বাজুস ২০২৩—২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সামনে রেখে এক সংবাদ সম্মেলন এর আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত  ছিলেন বাজুসের সহ—সভাপতি ও স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ এন্ড ট্যাক্সেশনের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, বাজুসের সহ—সম্পাদক ও স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ এন্ড ট্যাক্সেশনের ভাইস চেয়ারম্যান সমিত ঘোষ অপু, স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ এন্ড ট্যাক্সেশনের সদস্য সচিব পবন কুমার আগরওয়াল। 

লিখিত বক্তব্যে সাংবাদিকদের উদ্যেশে বলেণ, বাংলাদেশের মহান স্থাপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা নিমার্ণে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪১ সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাজুসের বর্তমান নেতৃত্ব বদ্ধ পরিকর। বাজুস মনে করছে— আগামী দিনে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে জাগরণ তুলবে জুয়েলারি শিল্প। বর্তমানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ্যভাবে জুয়েলারি শিল্পে আনুমানিক ৪৪ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে। আগামীতে এই শিল্পে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সম্ভব। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে জুয়েলারি শিল্পে ভ্যালু এডিশন করে সোনার অলঙ্কার রপ্তানি সম্ভব। দুবাই যেমন সোনার ব্যবসার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে, তেমনি বাংলাদেশেও এই সম্ভাবনা রয়েছে। সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন ছিলো জাতির পিতার। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে জুয়েলারি শিল্পে কর সুবিধা চাই। সত্যিকারের সোনার বাংলাদেশ গড়তে জুয়েলারি শিল্পে সকল সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই।  এই লক্ষ্যে ২০২৩—২৪ অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন — বাজুস সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে প্রস্তাবনা দিয়েছিল।

গত ১ জুন ২০২৩ মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, এম.পি জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট উপস্থাপন করেন। এবারের বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম ছিল ’উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে”। প্রস্তাবিত বাজেটে আশার আলো দেখা গেলেও, জুয়েলারী শিল্পের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। তবে ব্যাগেজ রুলের সংশোধন করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। দেশের অর্থ দেশে রাখার এই আন্তরিক প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। 

আমরা আশা করছি ব্যাগেজ রুল সংশোধন করায়, এদেশে সোনা চোরাচালান এবং মুদ্রা পাচার অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হবে। কারণ ব্যাগেজ রুলের সুবিধা নিয়ে এর আগে অবাধে সোনার বার বা পিন্ড বিদেশ থেকে দেশে প্রবেশ করছে। চোরাচালানের মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। মাননীয় অর্থমন্ত্রীর এই যুগান্তরকারী পদক্ষেপ বৈধভাবে সোনা আমদানীতে উৎসাহিত করবে। 

বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন — বাজুস সবসময় সোনা বিক্রেতা ও ক্রেতা সাধারনের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে আসছে। তাই ক্রেতা সাধারন ও বিক্রেতাদের সুবিধার দিকে দৃষ্টিপাত করে, ব্যাগেজ রুলের আওতায় বিদেশ থেকে আনয়নকৃত গহনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমা ১০০ গ্রাম থেকে কমিয়ে ৫০ গ্রাম করার প্রস্তাব উত্থাপন করছি। এতে করে স্থানীয় সোনা শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি স্থানীয় জুয়েলারি শিল্পের দিকে ক্রেতা সাধারন আকৃষ্ট হবে। স্থানীয় স্বর্ণ শিল্পীদের বাচাঁনোর জন্যে এই পদক্ষেপ সময়ের দাবি। বাংলাদেশের স্বর্ণ শিল্পীদের হাতে তৈরী গহনা স্থানীয় ও বিশ্ব বাজারে সমানভাবে সমাদৃত হয়ে থাকে। তাই স্থানীয় স্বর্ণ শিল্পীদের টিকিয়ে রাখার জন্যে সরকারের এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

গত ৪ এপ্রিল ২০২৩ আমরা আপনাদের নিয়ে প্রাক—বাজেট সংবাদ সম্মেলন করেছিলাম। সেখানে আমরা ১২ টি প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলাম। যা ছিল আমাদের জুয়েলার্স মালিকদের আশার প্রতিফলন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, ২০২৩—২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আমাদের ১২টি প্রস্তাবের ১টি বাদে অন্য কোন প্রস্তাবই সংযুক্ত হয়নি। যা শুধু আমাদের আশাহতই করেনি, পাশাপাশি জুয়েলারী শিল্পকে হুমকীর মুখে ফেলেছে। 

সোনার অলংকার বিক্রয়ের ক্ষেত্রে আরোপিত ৫ শতাংশ ভ্যাট, ক্রেতা সাধারণের উপর বোঝা হিসাবে পরিলক্ষিত হয়। যার জন্যে অনেক ক্রেতা ভ্যাট প্রদানে অনীহা প্রদান করে থাকে। যার প্রভাব পড়ে সরকারের রাজস্ব আয়ে। বাজেটের ঘাটতি মেটাতে সরকারের প্রয়োজন রাজস্ব আয়ের নতুন উৎস। জুয়েলারী শিল্প বাজেটের ঘাটতি মেটাতে অনেকাংশেই সাহায্য করতে পারে, যদি এই খাতের উপর আরোপিত ভ্যাটের হার কমানো হয়।

তাই বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন — বাজুস আবারো প্রস্তাব করছে সোনার অলংকার বিক্রয়ের ক্ষেত্রে আরোপিত ৫ শতাংশ ভ্যাট হার কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হোক। তাতে একদিকে ক্রেতা সাধারণ ভ্যাট প্রদানে উৎসাহিত হবে, অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব আয়ের ঘাটতি কিছুটা হলেও পূরণ হবে।  

বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্প বিকাশের বড় অন্তরায় হিসাবে কাজ করে থাকে প্রাথমিক কাঁচামালের আমদানীর উপর উচ্চ শুল্ক হার। প্রাথমিক কাঁচামালের উপর আরোপিত শুল্ক কমানো না হলে এই শিল্পের বিকাশ স্থবির হয়ে থাকবে এবং চোরাচালান বাড়বে। 

তাই বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্পের ভবিষ্যতের দিকে দৃষ্টি রেখে, বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন — বাজুস প্রস্তাব করছে আংশিক পরিশোধিত সোনা (এড়ষফ উড়ৎব) এর ক্ষেত্রে সিডি ১০ শতাংশ এর পরিবর্তে আইআরসি ধারী এবং ভ্যাট কমপ্লায়েন্ট শিল্পের জন্য শুল্ক হার ৫ শতাংশ করা হোক।

দেশের প্রাচীন শিল্পের মধ্যে অন্যতম জুয়েলারি খাত। বর্তমানে চরম সঙ্কটে দিশেহারা এই জুয়েলারি শিল্পের জন্য প্রয়োজন সরকারের নীতি সহায়তা। অপার সম্ভাবনা থাকার পরও, সুষ্ঠ রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও নীতি সহায়তার অভাবে জুয়েলারি শিল্প এখন হুমকির মুখে পড়েছে। 

সরকারের সর্বশেষ সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী— বাংলাদেশের সোনার বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৪০ টন। তবে প্রকৃত চাহিদা নিরুপণে সরকারের সমীক্ষা প্রয়োজন। বৈধভাবে সোনার চাহিদা পূরণ করার ক্ষেত্রে বড় বাঁধা কাঁচামালের উচ্চ মূল্য, অতিরিক্ত উৎপাদন ব্যয়, শিল্প সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতির উচ্চ আমদানি শুল্ক। বর্তমানে জুয়েলারি শিল্পের প্রায় সকল ধরণের পণ্য ও যন্ত্রপাতির আমদানি শুল্ক ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ। যা স্থানীয় অন্যান্য শিল্পে আরোপিত শুল্কের চেয়ে অনেক বেশি। এতে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। পাশাপাশি ৫ শতাংশ হারে উচ্চ ভ্যাট হার ও অতিরিক্ত উৎপাদন খরচের কারণে ভোক্তা পর্যায়ে আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে দামের পার্থক্য হচ্ছে। এতে ক্রেতা হারাচ্ছেন জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা। আর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন ছোট ছোট জুয়েলারী ব্যবসায়ী।   

এই নেতিবাচক প্রভাব পড়ার ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নীতি নির্ধারকদের উপর অনেকখানি দায় বর্তায়। অবাস্তব নীতি প্রণয়ন, শুল্ক নির্ধারণে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের গোঁড়ামি, ভ্যাট ও আয়কর কর্মকর্তাদের কর্তৃক ব্যবসায়িদের হয়রানি এবং আমদানির ক্ষেত্রে কাস্টমস সদস্যদের ক্ষমতার অপব্যবহার এই শিল্পের সাথে সংযুক্ত ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি ও আতংকের প্রধান কারণ। এতে সরকার প্রত্যাশিত রাজস্ব আয় থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। 

বাজুস মনে করে— বিশ্ববাজারে বাংলাদেশকে প্রতিযোগিতায় সক্ষম করতে জুয়েলারি খাতে আরোপিত শুল্ককর ও ভ্যাট হার কমানো এবং আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করতে হবে। এতে যেমন সরকারের বৈদেশিক আয় আসবে। তেমনি বাড়বে রাজস্ব আয়। বিপুল পরিমানে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের আরেকটি খাত তৈরি হবে। 

এ সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ২০২৩—২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অন্তর্ভূক্তির লক্ষ্যে ১১টি প্রস্তাব পুনঃবিবেচনার দাবি করছে বাজুস। 


ভ্যাট প্রস্তাবনা:

প্রস্তাবনা—০১

বর্তমানে জুয়েলারী ব্যবসার ক্ষেত্রে সোনা, সোনার অলংকার, রূপা বা রূপার অলংকার বিক্রির ক্ষেত্রে আরোপিত ভ্যাট হার ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হোক। 

সর্বশেষ ২৮ মে ২০২৩’র তথ্য অনুসারে— বর্তমানে মূল্যস্ফীতি এবং ডলারের বিনিময় মূল্যের কারণে ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম বা প্রতি এক ভরি ২২ ক্যারেট সোনার মূল্য ৯৬ হাজার ৬৯৪ টাকা। এরসঙ্গে নূন্যতম মজুরি ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। তারসঙ্গে নিধার্রিত ৫ শতাংশ হারে বা ৫ হাজার ৯ টাকা ভ্যাট যুক্ত হলে, মোট মূল্য হয় ১ লাখ ৫ হাজার ২০৩ টাকা। 

বাংলাদেশে প্রতি ভরিতে ভ্যাট দিতে হয় ৫ হাজার ৯ টাকা। অন্যদিকে ভারতে সমপরিমান সোনার অলঙ্কার কিনতে ৩ শতাংশ হারে বা ২ হাজার ৭৯১ টাকা ভ্যাট দিতে হয়। যার প্রভাব স্বর্ণালংকার ক্রয় ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সু¯পষ্ট বিদ্যমান। 

প্রস্তাবনা—০২

ঊঋউ গধপযরহব যতো দ্রুত সম্ভব নিবন্ধণকৃত সকল  জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করতে হবে। 

ঊঋউ গধপযরহব বসানোর মাধ্যমে জুয়েলারি শিল্পের স্বচ্ছতা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। সারাদেশে ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে ঊঋউ গধপযরহব বসানো হলে, বিপুল পরিমানে রাজস্ব আয় সম্ভব হবে। ব্যবসার ক্ষেত্রেও সমতা আসবে। এক্ষেত্রে বাজুসের স্পষ্ট বক্তব্য হলো— ঊঋউ গধপযরহব সকল জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে না বসিয়ে কাউকে হয়রানি করা যাবে না।

শুল্ক প্রস্তাবনা

প্রস্তাবনা—০৩

বর্তমানে অপরিশোধিত আকরিক সোনা (এড়ষফ ঙৎব) এর ক্ষেত্রে আরোপিত সিডি ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আমদানি শুল্ক শর্তসাপেক্ষে ১ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছে বাজুস। বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করার উদ্দেশ্যে আইআরসি ধারী এবং ভ্যাট কমপ্লায়েন্ট শিল্পের ক্ষেত্রে এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে জুয়েলারি শিল্পে শৃংখলা আসবে। এটি একটি আমদানি বিকল্প শিল্প হিসাবে পরিণত হবে। সোনা চোরাচালান বন্ধ হবে।  

প্রস্তাবনা—০৪

আংশিক পরিশোধিত সোনা (এড়ষফ উড়ৎব) এর ক্ষেত্রে সিডি ১০ শতাংশ এর পরিবর্তে আইআরসি ধারী এবং ভ্যাট কমপ্লায়েন্ট শিল্পের জন্য শুল্ক হার ৫ শতাংশ করা হোক।

প্রস্তাবনা—০৫

হীরা কাটিং এবং প্রক্রিয়াজাত করণের উদ্দেশ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান দ্বারা আমদানিকৃত রাফ ডায়মন্ডের (জড়ঁময উরধসড়হফ) প্রস্তাবিত শুল্ক হার নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছি।


 বৈধ পথে মসৃন হীরা আমদানিতে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান দ্বারা আমদানীকৃত মসৃন হীরা (চড়ষরংযবফ উরধসড়হফ) ৪০ শতাংশ ঠধষঁব অফফরঃরড়হ করা শর্তে প্রস্তাবিত শুল্ক হার নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছি।

আয়কর প্রস্তাবনা

প্রস্তাবনা—০৭

আয়কর আইনে ৪৬—(বিবি) (২) ধারার অধীনে এড়ষফ জবভরহবৎু বা সোনা পরিশোধনাগার শিল্পে ১০ বছরের জন্য কর অবকাশ বা ট্যাক্স হলিডে প্রদানের প্রস্তাব করা হলো।

প্রস্তাবনা—০৮

সোনার অলংকার প্রস্তুত করার উদ্দেশ্যে আমদানিকৃত কাঁচামাল ও মেশিনারিজের ক্ষেত্রে সকল প্রকার শুল্ক কর অব্যাহতি প্রদান সহ ১০ বছরের জন্য কর অবকাশ বা ট্যাক্স হলিডে প্রদানের প্রস্তাব করা হলো।

বিশেষ প্রস্তাবনা

প্রস্তাবনা—০৯

বৈধভাবে সোনার বার, সোনার অলংকার, সোনার কয়েন রপ্তানি উৎসাহিত করতে কমপক্ষে ২০ শতাংশ ঠধষঁব অফফরঃরড়হ করা শর্তে, রপ্তানিকারকদের মোট ঠধষঁব অফফরঃরড়হ এর ৫০ শতাংশ হারে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার প্রস্তাব করছি।

প্রস্তাবনা—১০

ঐ.ঝ. ঈড়ফব ভিত্তিক অস্বাভাবিক শুল্ক হার সমূহ হ্রাস করে পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের সাথে শুল্ক হার সমন্বয়সহ এসআরও সুবিধা প্রদান করার প্রস্তাব করছি।

প্রস্তাবনা—১১

মূল্য সংযোজন কর ও স¤পূরক শুল্ক আইন, ২০২২ ধারা—১২৬ক অর্থ আইন,২০১৯ (২০১৯ সালের ১০নং আইন) এর ১০২ ধারাবলে, চোরাচালান প্রতিরোধ করতে গিয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সহ সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সমূহের উদ্ধারকৃত সোনার মোট পরিমানের ২৫ শতাংশ সংস্থা সমূহের সদস্যদের পুরষ্কার হিসেবে প্রদানের প্রস্তাব করছি।