এমন অনেক মানুষ দেশে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির সুবিধা পাচ্ছেন যাদের সুবিধা পাওয়ার কথা না। এ কারণে যাদের প্রকৃতই সুবিধা পাওয়া দরকার তারা সুরক্ষা বলয়ের বাইরে থেকে যাচ্ছেন। এভাবে শুধু বিধবা ও বয়স্ক ভাতা খাতে বছরে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা অপচয় হচ্ছে। অপচয় বন্ধ করা গেলে প্রকৃত বিধবা ও বয়স্ক ভাতা ভোগীর সংখ্যা আরও ২৫ লাখ বাড়ানো যেত।
এমন অনেক মানুষ দেশে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির সুবিধা পাচ্ছেন যাদের সুবিধা পাওয়ার কথা না। এ কারণে যাদের প্রকৃতই সুবিধা পাওয়া দরকার তারা সুরক্ষা বলয়ের বাইরে থেকে যাচ্ছেন। এভাবে শুধু বিধবা ও বয়স্ক ভাতা খাতে বছরে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা অপচয় হচ্ছে। অপচয় বন্ধ করা গেলে প্রকৃত বিধবা ও বয়স্ক ভাতা ভোগীর সংখ্যা আরও ২৫ লাখ বাড়ানো যেত।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক সমীক্ষার প্রাথমিক ফলাফলে অপচয়ের এই চিত্র উঠে এসেছে। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিগুলো আরও কার্যকর করার উপায় খুঁজে বের করতে এই সমীক্ষা চালানো হয়। আজ ঢাকায় ব্র্যাক সেন্টার ইনে ক্রিশ্চিয়ান এইডের সঙ্গে যৌথভাবে সমীক্ষার ফল ঘোষণা করে সিপিডি।
সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি ফলপ্রসূ না হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ খুঁজে বের করেছে সিপিডি। তারা বলেছে, সামাজিক সুরক্ষার প্রয়োজন আছে এমন ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে ব্যর্থতা ও প্রশাসনিক দুর্বলতা এই অপচয়ের অন্যতম কারণ।
সমীক্ষার ফলাফলে বলা হয়, সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের আওতায় আসার যোগ্য ৩৩ লাখ বয়স্ক ও ২৫ লাখ বিধবা নারী এখনো সুবিধা পাচ্ছেন না। যারা সুরক্ষা বলয়ে আছেন তারা মাসে ৫০০ টাকা ভাতা পান। বর্তমান দ্রব্যমূল্য এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় বয়স্ক ভাতা বাড়িয়ে আড়ই হাজার টাকা ও বিধবা ভাতা দুই হাজার টাকা করা দরকার। এর জন্য বছরে সরকারের বাড়তি খরচ হবে ৮৮ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা।