বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাইলে ভারত সরকার বলতে পারে, তবে যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষা স্পষ্ট করেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় হোয়াইট হাউজের অধীন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনস কো-অর্ডিনেটর জন কিরবি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরকে কেন্দ্র করে এক প্রশ্নের জবাবে জন কিরবি এ উত্তর দেন। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির ওয়াশিংটন ফরেন প্রেস সেন্টারে এ ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
জন কিরবির কাছে প্রশ্ন ছিল যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনকে সমর্থন করার জন্য এরই মধ্যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। আপনি কি মনে করেন, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে ভারত বাংলাদেশে ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার সঙ্গে থাকবে?
এ প্রশ্নের জবাবে জন কিরবি বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে চাইলে ভারত সরকার বলতে পারে। আমরা এরই মধ্যে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের আকাঙ্ক্ষা স্পষ্ট করে দিয়েছি। আমরা আমাদের ভিসা নীতিতে এমন ব্যক্তিদের ভ্রমণ সীমাবদ্ধ করেছি, যারা বাংলাদেশের নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমি আমাদের কথাই বলতে পারি। সর্বসাধারণের জন্য আমরা এ সম্পর্কে বেশ প্রকাশ্য ছিলাম। তবে ভারত সরকার তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলতে পারে।’
নরেন্দ্র মোদি এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি ২০১৪ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর পাঁচবার যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন। চলমান সফর নরেন্দ্র মোদির ষষ্ঠ সফর। যুক্তরাষ্ট্রের আমন্ত্রণে সর্বোচ্চ প্রটোকলের রাষ্ট্রীয় সফরে রয়েছেন তিনি। নরেদ্র মোদির এবারের সফরকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন আঞ্চলিক ভূরাজনীতির পর্যবেক্ষকরা।
তাদের ভাষ্যমতে, আঞ্চলিক ভূরাজনীতিতে নরেন্দ্র মোদির এবারের সফরের প্রভাব সুদূরপ্রসারী হতে পারে। ইন্দোপ্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান আধিপত্য মোকাবেলায় ভারতকে সহযোগী ও নিট নিরাপত্তাদাতা দেশ হিসেবে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের মধ্যে এবার প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা নিয়ে বেশকিছু চুক্তি সইয়ের কথা আছে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর চলমান সফর সামনের দিনগুলোয় ইন্দোপ্যাসিফিকে মার্কিন স্বার্থের সুরক্ষায় সহায়ক হবে বলে প্রত্যাশা করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রতিনিধি ও কূটনীতিকরাও।