আবেদনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একটি ওয়েবপেজ খুলেছে এবং জানিয়েছে এ বছরের ১ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে। ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে আবেদন চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আবেদনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একটি ওয়েবপেজ খুলেছে এবং জানিয়েছে এ বছরের ১ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে।
ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় আগ্রহীদের আবেদনের প্রসেসিং ফি বাবদ পাঁচ লাখ টাকা জমা দিতে হবে। এই টাকা অফেরযোগ্য বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
দেশে প্রচলিত ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি আর্থিক সেবা দিতে ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার নীতিমালা অনুমোদনের এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এ উদ্যোগ নিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনে ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন লাগবে ১২৫ কোটি টাকা। এটি অবশ্যই একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হতে হবে। প্রত্যেক উদ্যোক্তার ন্যূনতম শেয়ার হবে ৫০ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালায় বলা হয়েছে, ডিজিটাল ব্যাংকগুলো কাউন্টারের মাধ্যমে সরাসরি গ্রাহকদের কোনো সেবা দিতে পারবে না এবং কোনো ফিজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট ইস্যু করতে পারবে না।
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে লাইসেন্স পাওয়ার ৫ বছরের মধ্যে ডিজিটাল ব্যাংককে জনসমক্ষে আসতে হবে। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে উত্থাপিত মূলধনের পরিমাণ পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণের চেয়ে কম হলে হবে না।
ঋণখেলাপি কোম্পানি, ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ডিজিটাল ব্যাংকের স্পন্সর শেয়ারহোল্ডার হতে নিষেধ করা হয়েছে। কোনো স্পন্সর শেয়ারহোল্ডার পরিচালনার পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ছাড়া শেয়ার হস্তান্তর করতে পারবেন না।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ডিজিটাল ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অবশ্যই প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যাংকিংয়ে ৫ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং অন্তত ১৫ বছরের ব্যাংকিং ক্যারিয়ার থাকতে হবে।