স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মান ও সরকারের ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ডিজিটাল স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার যে অভিপ্রায় সরকারের রয়েছে তার সফল বাস্তবায়ন করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নানান ধরনের যুগোপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করে চলেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাশাপাশি ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলও নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ডিজিটাল স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের এই পথচলায় সেবা প্রদান এবং গ্রহণের যে ডিজটাল ট্রান্সফরমেশন ঘটছে সেখানে আলোকবর্তিকাবাহী হাসপাতাল হিসাবে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (SOMCH) অবদান রাখছে। এবং ডিজিটাল স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের এই মহাযজ্ঞে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করছেন দেশের প্রথম সারির তথ্য ও প্রযুক্তিগত সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ইজেনারেশন লিমিটেড।
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের আওতায় “ডিজিটাল সিলেট সিটি” প্রকল্পের অধীন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (SOMCH) এর জন্য গৃহীত "হেলথ সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম" সফটওয়্যারটির ফেইজ-১ এর ইউজার অ্যাকসেপ্টেন্স টেস্টিং (UAT) এবং মাস্টার ট্রেইনারদের প্রশিক্ষণ ২৮ শে মে ২০২৩ ইং তারিখে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (SOMCH)প্রশিক্ষণ কক্ষে শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মহিদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডাক্তার সৌমিত্র চক্রবর্তী, পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত), সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আবুল কালাম আজাদ, সহাকারী পরিচালক, প্রশাসন, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং এস এম আশরাফুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, ইজেনারেশন লিমিটেড ও সাবেক নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। অন্যান্যদের মধ্যে আরোও উপস্থিত ছিলেন, প্রফেসর মোঃ মাসুম, বিভাগীয় প্রধান, কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও পরামর্শক, ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্প এবং এমরান আব্দুল্লাহ, পরিচালক, স্ট্র্যাটেজিক সেলস, ইজেনারেশন লিমিটেড। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মধুসূদন চন্দ, উপ প্রকল্প পরিচালক, ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্প।
হেলথ সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম" সফটওয়্যারটির ফেইজ-১ এর ইউজার অ্যাকসেপ্টেন্স টেস্টিং (UAT) এবং মাস্টার ট্রেইনারদের প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ায় এক শুভেচ্ছা বার্তায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহাবুবুর রহমান ভূইয়া, পরিচালক, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বলেন, “একটি দেশকে স্মার্ট জাতি হিসাবে রূপান্তর করার অন্যতম প্রধান শর্ত হচ্ছে দেশের জনগণের কাছে ডিজাটাল স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়া। সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হেলথ সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যারটির ইউজার অ্যাকসেপ্টেন্স টেস্টিং (UAT) এবং মাস্টার ট্রেইনারদের প্রশিক্ষণ শুরুর মাধ্যমে এদেশে সবার জন্য ডিজিটাল স্বাস্থ্য সেবার দ্বার উন্মোচিত হলো। আশা করি অচিরেই আরো উন্নততর সেবা নিয়ে এদেশের জনগণের কাছে ডিজাটাল স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে যাবে”।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক্তার সৌমিত্র চক্রবর্তী, পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত), সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বলেন, “আজকের দিনটি সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। আজ আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের অংশ হতে যাচ্ছি। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী প্রত্যকেই তাদের নিজ কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন এবং আশা করি তারা যদি এই প্রশিক্ষণটি গ্রহণের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির অগ্রযাত্রায় আরোও ভালোভাবে নিজেদের সামিল করবেন।”
অন্যান্যদের মধ্যে ইজেনারেশন লিমিটেড’র চেয়ারম্যান এস এম আশরাফুল ইসলাম বলেন, “ইজেনারেশন তাদের কর্মীবাহীনির লোকাল এবং গ্লোবাল অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে হেলথ সার্ভিস ম্যানেজমেন্টের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানদণ্ড ও মাইক্রোসার্ভিস আর্কিটেকচার ব্যবহার করে এই সফটওয়্যারটি ডেভেলপ করেছে যার ফলে এই সফটওয়্যারে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত হয়েছে । এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিগন্ত পরিবর্তন করে দেয়ার মত একটি উদ্যোগ”।
সমাপনী বক্তব্যে অনুষ্ঠানের সভাপতি মোহাম্মদ মহিদুর রহমান খান, প্রকল্প পরিচালক, ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্প বলেন, “ হেলথ সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম একটি খুবই চ্যালেঞ্জিং কাজ। এমন একটি চ্যালেঞ্জিং কাজকে সফল করতে সর্বাত্ত্বক সহায়তা করার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (SOMCH) এর কর্মকর্তা ও ডাক্তারগণ, শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সন্মানিত শিক্ষকবৃন্দ এবং সফটওয়্যারটি বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ইজেনারেশনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। অনেক প্রতিবন্ধকটা এবং সীমাবদ্ধটা থাকা সত্ত্বেও আপনাদের সহযোগিতায় এই পর্যন্ত আসতে পেরেছি, আশা করি আপানদের সহযোগিতা অব্যহত থাকবে এবং অচিরেই আমরা চূড়ান্ত সফলতা অর্জন করতে পারবো”।