এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন’ প্রত্যয় নিয়ে এবং ‘ইমব্রাস্ ইকুইটি’ স্লোগান নিয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৩ উদ্যাপন করেছে। এনসিসি ব্যাংকের ভাইস-চেয়ারম্যান ও পরিচালক সোহেলা হোসেন এবং উম্যান ও ই-কমার্স ট্রাস্টের (উই) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট নাসীমা আক্তার নিসাসহ ব্যাংকের অন্যান্য নারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
এ সময় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী (চলতি দায়িত্ব) খন্দকার নাইমুল কবির অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এ ছাড়া, ব্যাংকের অতিরিক্ত-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. শামসুল আরেফীন, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ মো. মাহবুব আলম, এম. আশেক রহমান ও মো. জাকির আনাম, এসইভিপি ও সিআইও মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, এসইভিপি ও হেড অব অপারেশনস সৈয়দ তোফায়েল আলী, এসইভিপি ও চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, এসইভিপি ও কোম্পানি সচিব মো. মনিরুল আলম, সাস্টেইনেবল ফাইন্যান্স ইউনিট প্রধান নিঘাত মমতাজ, সোনারগাঁও জনপথ রোড শাখার ব্যবস্থাপক সানজিদা ইসমাইল চৌধুরীসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান সৈয়দ হাসনাইন মামুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ঢাকার অন্যান্য শাখা থেকে নারী কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। এ সময়, শিগগিরই এনসিসি ব্যাংকের একটি স্বতন্ত্র নারী সেবা ইউনিট চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়।
ভাইস-চেয়ারম্যান সোহেলা হোসেন নারীর ক্ষমতায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এনসিসি ব্যাংক শুরু থেকেই নারী কর্মকর্তাদের জন্য একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ এবং বিশেষায়িত সুযোগ সৃষ্টির জন্য আন্তরিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নারী কর্মকর্তাদের সুরক্ষায় এবং কর্মক্ষেত্রে তাঁদের জন্য স্বস্তিদায়ক পরিবেশ সৃষ্টির স্বার্থে যেকোনো ধরনের হয়রানি দূরীকরণে এনসিসি ব্যাংক সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে।
উম্যান ও ই-কমার্স ট্রাস্টের (উই) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট নাসীমা আক্তার নিসা বলেন, বর্তমানে ব্যাংকিং সেক্টরে নারী কর্মকর্তারা কর্মক্ষেত্রে যথেষ্ট যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছেন এবং নিজ যোগ্যতাবলে উন্নতি করছেন। ব্যাংকিং সেক্টরসহ দীর্ঘমেয়াদি টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে তথা দেশের সার্বিক উন্নয়নে নারীর ক্ষমতায়ন অতীব জরুরি। কারণ জনসংখ্যার অর্ধেক নারীকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে না পারলে আমাদের সামষ্টিক অর্জন বিঘ্নিত হবে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী (চলতি দায়িত্ব) খন্দকার নাইমুল কবির বলেন, বর্তমানের মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইনোভেশন বা উদ্ভাবনী সেবাসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বিষয়ে নারীদের এগিয়ে আসতে হবে এবং যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে হবে, কারণ ভবিষ্যতের আর্থিক খাত পুরোপুরি প্রযুক্তি নির্ভর হবে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারলে যেমন নারীরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন তেমনি ব্যাংকিং সেক্টরও লাভবান হবে।