ভারতের মাটিতে পাকিস্তানের ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া নিয়ে চলছে জটিলতা। কিছুদিন আগে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের (সভাপতি) নাজাম শেঠি জানান, দলটির অংশগ্রহণ নির্ভর করছে সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর। এবার পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো এলো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানাল, ক্রিকেট দল ভারতে যাবে কিনা সেটার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দুই প্রতিবেশি দেশের মধ্যে উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট স্থগিত রয়েছে। গত এক দশক ধরে মূলত নিরপেক্ষ ভেন্যুতে পরস্পরকে মোকাবিলা করছে ভারত ও পাকিস্তান। তাদের ম্যাচগুলো হচ্ছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি) ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) আয়োজিত আসরে। পাকিস্তান অবশ্য মাঝে একবার ভারতে গিয়েছিল ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে। সেবারও আসর শুরুর আগে তাদের খেলা-না খেলা নিয়ে ছিল চরম অনিশ্চয়তা।
এবারের জটিলতার সূত্রপাত হয়েছে পাকিস্তানের মাটিতে এশিয়া কাপ খেলতে ভারত ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) অস্বীকৃতি জানানোর পর। পিসিবির শুরুতে জানায়, ভারত না এলে তারাও হয়তো বিশ্বকাপে অংশ নিতে সেখানে যাবে না। পরে তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, পাকিস্তান সরকারই এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে।
বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বেলুচ সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে অংশ নেন। সেখানে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, 'ক্রিকেটের ব্যাপারে পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গি হলো, খেলাধুলার সঙ্গে রাজনীতি মেশানো উচিৎ নয়। পাকিস্তানে খেলতে না আসার যে নীতি ভারত দেখিয়েছে তা হতাশাজনক। পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে বিশ্বকাপে আমাদের অংশগ্রহণের সঙ্গে সম্পর্কিত সবকিছু আমরা পর্যবেক্ষণ করছি ও খতিয়ে দেখছি। আমাদের মতামত আমরা যথাসময়ে পিসিবিকে জানিয়ে দেব।'
পাকিস্তানের অংশগ্রহণ নিয়ে সংশয়ের কারণে এখনও ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা করতে পারেনি আইসিসি। অথচ আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আসর শুরুর আর মাত্র তিন মাসের কিছু বেশি সময় বাকি। সাধারণত বিশ্বকাপের প্রায় এক বছর আগে সূচি ঘোষণা করা হয়ে থাকে।