শেয়ার বাজার

এক গাছেই ধরেছে ৮ জাতের আম

এক গাছেই ধরেছে ৮ জাতের আম
বিচিত্র

কলম পদ্ধতি প্রয়োগ করায় মাদারীপুরের মস্তফাপুর হর্টিকালচার সেন্টারের একটি আমগাছে আট জাতের আম ধরছে বলে জানিয়েছে সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদেরা।

মাদারীপুরের মস্তফাপুর হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদেরা জানান, গাছটিতে আট জাতের আম ধরেছে। আট রঙের আমগুলো দেখতে যেমন বাহারি, তেমনি সুস্বাদু। গাছটিতে বছরের ১২ মাসই আম ধরবে।

মস্তফাপুর হর্টিকালচার সেন্টার জানায়, প্রতিষ্ঠানটিতে ২০২২ সালে একটি উন্নত জাতের আমগাছ রোপণ করা হয়। ছয় মাসের মাথায় গাছটির প্রধান শাখাটি মরে যায়। এরপর গোড়ায় দিক থেকে গাছটিতে নতুন করে ১০টি ডাল গজায়। ডালগুলোতে কলম তৈরির মাধ্যমে ১০টি ভিন্ন জাতের আমগাছের ডাল বসানো হয়। এর মধ্যে আটটি জাতের কলম বেঁচে যায়। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফলন দেওয়া শুরু করে গাছটি।

গাছের আট জাতের আমগুলো হলো মিয়াজাকি, পালমার্ক, থাই জাম্বু, কাটিমন, বারি আম-১১, কিউজাই, হিমসাগর ও বানানা।  বর্তমানে হর্টিকালচার সেন্টারে এমন আরও চারা গাছ তৈরির কার্যক্রম চলছে।

সরেজমিনে মস্তফাপুর হর্টিকালচার সেন্টার দেখা গেছে, প্রায় ১০ ফুট উচ্চতার গাছটিতে নানা জাতের আম ঝুলছে। লাল, সবুজ ও খয়েরি রঙের এসব আমের আকৃতিও ভিন্ন। গাছটির কয়েকটি ডালে আম ইতোমধ্যে পরিপক্ব হয়েছে। আবার কোনো ডালে শুধু আমের মুকুল এসেছে, কোনোটিতে এখনো কাঁচা আম ঝুলছে। আমগাছটি দেখতে অনেকেই হর্টিকালচার সেন্টারে আসছেন।

মাদারীপুর হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক আশুতোষ কুমার বিশ্বাস বলেন, গাছটি অভিনব কলম পদ্ধতিতে তৈরি। বীজের চারা থেকে কলম করার মাধ্যমে এটি করা হয়েছে। একই গাছে বিভিন্ন জাতের আমের সংমিশ্রণ তৈরি করায় বছর জুড়ে গাছটি থেকে আম পাওয়া যাবে। গাছটি ইতোমধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে, অনেকেই গাছটি নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। সারা দেশে এ ধরনের আমগাছের চারা উৎপাদন করতে এখানকার উদ্যানতত্ত্ববিদরা গবেষণা শুরু করেছেন।