সিসিএন ডেস্ক : গতকাল (শনিবার) পাকিস্তান পিপলস পার্টিসহ (পিপিপি) আরও কয়েকটি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পিএমএল–এন–এর নেতারা। সেখানে জোট সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অবশ্য পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি দাবি করেছেন পিএমএল–এন বা অন্য কারও সঙ্গে জোট সরকার গঠন নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি।
গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৫ আসনে ভোট হয়েছে (একটি স্থগিত)। এ পর্যন্ত পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ঘোষিত ২৫৭ আসনের মধ্যে ১০২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন যাদের প্রায় সবাই পিটিআই–সর্মথিত। দ্বিতীয় স্থানে থাকা পিএমএল–এন ৭৩ এবং তৃতীয় স্থানে থাকা পিপিপি ৫৪ আসনে জয়ী হয়েছে। অন্যরা পেয়েছে ২৮ আসন। পাকিস্তানে এককভাবে সরকার গঠনের জন্য জাতীয় পরিষদে অন্তত ১৩৪ আসনে দরকার।
নির্বাচনের আগে নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ায় পিটিআই প্রার্থীরা দলীয় পরিচয় বা দলীয় প্রতীকে ভোটে অংশ নিতে পারেননি বলে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
পিটিআই কেন সরকার গঠনের দৌড়ে পিছিয়ে
পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নিজেরা মিলে কোনো সরকার গঠন করতে পারেন না। জাতীয় পরিষদে সংরক্ষিত ৭০ আসনে কোনো সদস্যও দিতে পারেন না তারা। সরকারে থাকতে হলেও তাদের কোনো দলে যোগ দিতে হয়। এ জন্য নির্বাচনে জয়ের পর ৭২ ঘণ্টা সময় পান তারা। তবে এসব নির্বাচিত এমপির কোনো নিবন্ধিত দল না থাকায় তারা এখন নির্দিষ্ট কোনো দলেও যোগ দিতে পারছেন না। তবে তাদেরকে এক মঞ্চে আনার চেষ্টা শুরু হয়েছে।
নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে পিটিআই–সমর্থিত প্রার্থীদের জয়ের পর ইমরানের উপদেষ্টা জুলফি বুখারি বলেছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তার দলের পক্ষ থেকে একটি মঞ্চ ঘোষণা করা হবে। তারপর সেই মঞ্চে সব স্বতন্ত্র প্রার্থীকে যোগ দিতে বলা হবে।
পিটিআই চেয়ারম্যান গহর আলী খান দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি সরকার গঠনের জন্য তার দলকে আমন্ত্রণ জানাবেন। কারণ, জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে দল–সমর্থিত বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
পিএমএল–এন ও পিপিপি বৈঠক
শনিবার পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান মহসিন নাকভির বাড়িতে পিপিপির বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ও তাঁর বাবা পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির সঙ্গে বৈঠকে বসেন নওয়াজের ছোটভাই শাহবাজ শরিফ। বৈঠক–সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৈঠকে দুই দল জোট বেঁধে কেন্দ্রে ও পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদে সরকার গড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে বৈঠকের পর বিলাওয়াল জিও নিউজকে বলেন, পিএমএল–এন, পিটিআই বা অন্য কারও সঙ্গে জোট সরকার গঠনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি। কে সরকার গঠন করবে, সে বিষয়ে এখনো কথা বলার সময় আসেনি।
দুই দলের বৈঠকের মধ্যে সেনাপ্রধান আসিম মুনির এক বিবৃতিতে বলেছেন, সব গণতান্ত্রিক শক্তির সমন্বয়ে গঠিত একটি ঐক্যবদ্ধ সরকারই ভালোভাবে দেশের বৈচিত্র্যময় রাজনীতি ও বহুত্ববাদের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।#
পার্সটুডে