সিসিএন ডেস্ক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ভিন্ন ভিন্ন খাতের ৬ কোম্পানি গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। কোম্পানিগুলো হচ্ছে- বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, ক্রাউন সিমেন্ট, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস, ফার ইস্ট নিটিং এবং স্কয়ার টেক্সটাইলস লিমিটেড।
আজ রোববার (২২ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস:
কোম্পানিটি গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে সমাপ্ত অর্থবছরের বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৬ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই ক্যাশ ডিভিডেন্ড।
সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (EPS) হয়েছে ২ টাকা ২১ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৪ টাকা ০৫ পয়সা আয় হয়েছিল। গত ৩০ জুন, ২৩ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৫ টাকা ৭২ পয়সা।
আগামী ২৪ ডিসেম্বর ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ নভেম্বর।
২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত র্বতমানে ১ ক্যাটাগরি কোম্পানিটি ইতোপুবে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০২২ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০২১ সালে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০২০ সালে ৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০১৯ সালে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ,২০১৮ সালে ৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০১৭ সালে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০১৬ সালে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করে এবং ২০১১ সালে ৫ শতাংশ বোনাস প্রদান করেছিল।
ক্রাউন সিমেন্টের ডিভিডেন্ড ঘোষণা
কোম্পানিটি গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে সমাপ্ত অর্থবছরের বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই ক্যাশ ডিভিডেন্ড।
সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৪ টাকা ১১ পয়সা । আগের বছর শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৫৪ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
আগামী ২০ ডিসেম্বর ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ নভেম্বর।
২০১১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত র্বতমানে ১ ক্যাটাগরি কোম্পানিটি সবশেষ ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ সালে এজিএম অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে সময় থেকে ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০২২ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০২১ সালে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০২০ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০১০ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করেছে।
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস:
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্কয়ার গ্রুপের দুটি কোম্পানি সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল পিএলসির মুনাফা বাড়লেও কমেছে স্কয়ার টেক্সটাইলস পিএলসির। গতকাল অনুষ্ঠিত কোম্পানি দুটির পর্ষদ সভায় নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়। আর্থিক প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিটি গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে সমাপ্ত অর্থবছরের বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই ক্যাশ ডিভিডেন্ড। যা স্কয়ার ফার্মার ইতিহাসে সর্বোচ্চ ক্যাশ ডিভিডেন্ড।
আলোচিত বছরে কোম্পানির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (EPS) হয়েছে ২১ টাকা ৪১ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস ছিল ২০ টাকা ৪৮ পয়সা।
গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১২৯ টাকা ৯৫ পয়সা।
আগামী ১৪ ডিসেম্বর ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ ১৬ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে ।
উল্লেখ্য ১৯৯৫ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি এক দশক আগেও ডিভিডেন্ডে জোর দিয়ে এলেও পরে স্টক ডিভিডেন্ড এর পাশাপাশি ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিতে থাকে। বড় মূলধনি কোম্পানিটি প্রথমবারের মতো ১০০ শতাংশের উপরে ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।
স্কয়ার টেক্সটাইলস:
কোম্পানিটি গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে সমাপ্ত অর্থবছরের বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই ক্যাশ ডিভিডেন্ড।
আলোচিত বছরে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সমন্বিত (Consolidated) আয় (EPS) হয়েছে ৫ টাকা ৮১ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৯ টাকা ৯৩ পয়সা।গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৪৮ টাকা ৯৩ পয়সা।
আগামী ১৪ ডিসেম্বর ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ নভেম্বর।
উল্লেখ্য 2022 সালে পুঁজিবাজারে টেক্সটাইল খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগকারীদের জন্য নগদ ও স্টক লভ্যাংশ প্রদান করে আসছে যার ধারাবাহিক হলে -২০২২ সালে ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০২১ সালে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০২০ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০১৯ সালে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০১৮ সালে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০১৭ সালে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০১৬ সালে ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করেছে। এবং ২০১৮ সালে ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ, ২০১৭ সালে ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ, ২০১৬ সালে ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ প্রদান করেছে।
এছাড়া ব্যবসা সম্প্রসারণে কারখানার ব্যালান্সিং, আধুনিকায়ন, বিস্তার ও প্রতিস্থাপন (বিএমআরই), মূলধনি যন্ত্রপাতি ও জমি খাতে বিনিয়োগের জন্য ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে স্কয়ার ফার্মা পর্ষদ। অন্যদিকে স্কয়ার টেক্সটাইলস পর্ষদ বিএমআরইর উদ্দেশ্যে ৪৫ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে।
নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস
কোম্পানিটি গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে সমাপ্ত অর্থবছরের বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৩ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই ক্যাশ ডিভিডেন্ড।
সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৩ টাকা ৫৯ পয়সা। আগের বছর শেয়ারপ্রতি ৩ টাকা ৪২ পয়সা আয় হয়েছিল। গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৪০ টাকা ৭১ পয়সা।
কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ নভেম্বর।
উল্লেখ্য ২০২২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য নগদ ১১ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদান করেছিল।
ফার ইস্ট নিটিং:
কোম্পানিটি গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে সমাপ্ত অর্থবছরের বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই ক্যাশ ডিভিডেন্ড।
সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৫৩ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি ১ টাকা ০৪ পয়সা আয় হয়েছিল
গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৯ টাকা ৫৩ পয়সা।
আগামী ১৭ ডিসেম্বর ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ নভেম্বর।