বুধবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে মাত্র দশমিক ৮৩ পয়েন্ট। তবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ৩ পয়েন্ট। এদিন ডিএসইতে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, বিপরীতে ৭৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে।
ডিএসইর দেওয়া তথ্যমতে, বুধবার বাজারে লেনদেন হওয়া ৩০২টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭০টির, কমেছে ৭৮টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এতে ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৮৪ পয়েন্টে।
ডিএসইর অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক দশমিক ৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৫৯ পয়েন্টে। ডিএস-৩০ সূচক ১ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৪০ পয়েন্টে। এ দিন ৩০২টি প্রতিষ্ঠানের ৭ কোটি ৪২ লাখ ১৫ হাজার ৭৯৭টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে; যা টাকার অঙ্কে ৪২২ কোটি ৩০ লাখ ৪ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৫০ কোটি ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড। অর্থাৎ দিনের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে।
ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল জেমিনি সি ফুডের শেয়ার। তৃতীয় অবস্থানে ছিল অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের শেয়ার। এরপরে ছিল খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ, ইস্টার্ন হাউজিং, রয়েল টিউলিপ সী পার্ল, ফু-ওয়াং ফুড, ইউনিয়ন ইনস্যুরেন্স, বিডি কম এবং অ্যাপেক্স ফুডস লিমিটেড।
অপরদিকে সিএসইর প্রধান সূচক ৩ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৮০ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৪৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৩টির, কমেছে ৬১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৩টি। দিন শেষে সিএসইতে ৫০ কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ৭৭২ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৫ কোটি ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫৩৫ টাকার শেয়ার।
শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির কারণ জানে না খান ব্রাদার্স
কোনো কারণ ছাড়াই শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ার দর অস্বাভাবিক বাড়ছে বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) জানিয়েছে কোম্পানিটি। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
জানা গেছে, শেয়ার দর অস্বাভাবিক বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে সম্প্রতি ডিএসই কোম্পানিটিকে নোটিশ পাঠায়। এর জবাবে কোম্পানির পক্ষ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর জানানো হয়, কোনো রকম অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই কোম্পানিটির শেয়ার দর এভাবে বাড়ছে।
উল্লেখ্য, খান ব্রাদার্সের শেয়ার দর গত ১৮ সেপ্টেম্বর ছিল ১৯.৯০ টাকায়। আর ২৭ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়ায় ২৭ টাকায়। অর্থাৎ এই ৭ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৭.১০ টাকা বা ৩৬ শতাংশ বেড়েছে।
খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ২০১৪ সালে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১৫০০ কোটি টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৯৮০.৮০ কোটি টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৯৮,০৭৯,৮৭৭,০০০টি। এর মধ্যে ৩০ দশমিক ১৩ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ১৮ দশমিক ৯২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ০.০০ বিদেশী বিনিয়োগকারি ও বাকি ৫০ দশমিক ৯৫শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
কোম্পানি গত ২২ ডিসেম্বর ২২ সবশেষ এজিএম করে সে সময় ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষনা করেছি। এরপর পযায়ক্রমে 2% 2020, 2% 2018 নগদ লভ্যাংশ এবং 10% 2017, 11% 2016, 15% 2015, 10% 2014 সালে বোনাস শেয়ার প্রদান করেছে।
ডিএসই এবার বন্ধ পেলো ফ্যামিলিটেক্সের কারখানা
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিদর্শক দল শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ফ্যামিলিটেক্সের উৎপাদন কার্যক্রমও বন্ধ পেয়েছে। ডিএসই বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে।
ডিএসই জানিয়েছে, তাদের একটি পরিদর্শক দল ফ্যামিলিটেক্সের বর্তমান কার্যক্রম দেখার জন্য কোম্পানির কারখানা ২৭ সেপ্টেম্বর পরিদর্শনে যায়। ডিএসই পরিদর্শন দল কোম্পানিটির কার্যক্রম বন্ধ পেয়েছে।
শেয়ারবাজারের বেঁধে দেওয়া নিয়ম প্রতিপালন, কারসাজি, উৎপাদনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে তালিকাভুক্ত ১৪ কোম্পানি পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসই। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ডিএসইর এই সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেয়।
এরপর ডিএসইর পরিদর্শক দল নর্দার্ণ জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি, দুলামিয়া কটন, রিজেন্ট টেক্সটাইল এবং উসমানিয়া গ্লাসের বর্তমান উৎপাদন অবস্থা দেখতে কারখানা পরিদর্শনে যায়। পরিদর্শনে এই চার কোম্পানির কারখানা বন্ধ পায় ডিএসই।
ডিএসই পরিদর্শনের অনুমতি পাওয়া অন্য কোম্পানিগুলো হলো – ফরচুন সুজ, ন্যাশনাল ফিড মিলস, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, কেয়া কসমেটিকস, খান ব্রাদার পিপি, ঢাকা ডাইং, জাহিন স্পিনিং এবং জাহিন টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
দুই কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়ের পর তা প্রকাশ করা হয়েছে। কোম্পানি দুটি হচ্ছে- বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠান আনলিমা ইয়ার্ন এবং বীমা খাতের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আনলিমা ইয়ার্নের রেটিং নির্ণয় করেছে ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিংস লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে এমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড।
আনলিমা ইয়ার্নের দীর্ঘমেয়াদী রেটিং হয়েছে ‘বিবিবি+’ এবং স্বল্প মেয়াদী রেটিং হয়েছে এসটি-৩। ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত প্রতিবেদন অনুযায়ী এই রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের দীর্ঘমেয়াদী রেটিং হয়েছে ‘এএ+’ এবং স্বল্প মেয়াদী রেটিং হয়েছে এসটি-২। ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন েএবং ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ছয় মাসের অনিরীক্ষিতি প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রতিবেদন অনুযায়ী এই রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।
আনলিমা ইয়ার্ন ১৯৯৭ সালে দেশের পুঁজিবাজারে বস্ত্রখাতে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন৭৮.৬৮ কোটি টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৭৮৬৭৮০০টি। এর মধ্যে ৪৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ৩ দশমিক ০৪ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ও বাকি ৫২ দশমিক ৫৩শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
কোম্পানি গত ২০ ডিসেম্বর ২২ সবশেষ এজিএম করে সে সময় ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষনা করেছি। এরপর পযায়ক্রমে 2% 2020, 5% 2019, 10% 2018, 10% 2017, 10% 2016, 10% 2015, 10% 2014, 10% 2013, 10% 2012, 10% 2011, 10% 2010, 5% 2009, 5% 2008, 5% 2006, 5% 2005, 5% 2004, 5% 2003, 10% 2002, 12% 2001, 12% 2000, 12% 1999, 10% 1998 লভ্যাংশ প্রদান করেছে।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স ২০১৬ সালে দেশের পুঁজিবাজারে বীমাখাতে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০০ কোটি টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৪৪২.৫০ কোটি টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৪৪,২৫০,০০০টি। এর মধ্যে ৬০ দশমিক ১৩ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ৪ দশমিক ৩২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ০.০২ বিদেশী বিনিয়োগকারি ও বাকি ৩৫ দশমিক ৫৩শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে। কোম্পানি গত ২১ জুন ২৩ সবশেষ এজিএম করে সে সময় ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষনা করেছি। পযায়ক্রমে 18% 2021, 15% 2020, 12% 2019, 12% 2018, 10% 2017, 10% 2016 লভ্যাংশ প্রদান করেছে।
উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে এমারেল্ড অয়েলের
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের এমারেল্ড অয়েল লিমিটেড যমুনা এডিবল অয়েলের সাথে চুক্তি সম্পাদনের পর উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে।
জানা গেছে, যমুনা এডিবল অয়েলের সাথে চুক্তি সম্পাদনের পর এমারেল্ড অয়েলের উৎপাদন ক্ষমতা প্রতিদিন ৬০০ মেট্রিক টন বৃদ্ধি পাবে। প্রতি বছর কোম্পানিটির বিক্রির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা এবং যমুনা এডিবল অয়েলের সাথে ভাগাভাগি অনুপাতে বছরে কোম্পানিটির মুনাফা হবে প্রায় ৩০ কোটি টাকা।
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড যমুনা এডিবল অয়েলের সঙ্গে সম্প্রতি চুক্তি করেছে। এই চুক্তির ফলে এমারেল্ড অয়েলের তেল উৎপাদন ক্ষমতা ৬০০ টন বৃদ্ধি পাবে। এতে বছরে প্রায় ৯০০ কোটি টাকার তেল বিক্রি হবে বলে প্রত্যাশা করছে কোম্পানিটি। ফলে কোম্পানিটির মুনাফাও বাড়বে।
সূত্র মতে, রাইস ব্র্যান অয়েল এবং ক্রুড অয়েল উৎপাদন করতে যমুনা এডিবল অয়েলের সঙ্গে এমারেল্ড অয়েলের চুক্তি হয়েছে। ইতিমধ্যে চুক্তিটি কার্যকরও হয়েছে। এই চুক্তি কার্যকর হওয়ায় প্রতি বছর অন্তত ৩০ কোটি টাকা বেশি মুনাফা হবে বলে জানিয়েছে এমারেল্ড অয়েল।
ইমাড ওয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ ২০১৪ সালে দেশের পুঁজিবাজারে খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০০ কোটি টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৫৯৭.১৪ কোটি টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৫৯,৭১৩,৫০০টি। এর মধ্যে ৩৮ দশমিক ২৬ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ১১ দশমিক ১২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ০.০০ বিদেশী বিনিয়োগকারি ও বাকি ৫০ দশমিক ৬২শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
কোম্পানি গত ১২ জুলাই ২৩ সবশেষ এজিএম করে সে সময় ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষনা করেছি। এর আগে পযায়ক্রমে 10% 2015, 10% 2014 এবং বোনাস শেয়ার 10% 2016, 10% 2015, 5% 2014 লভ্যাংশ প্রদান করেছে।
পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের বোনাস বিওতে প্রেরণ
গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের ঘোষিত লভ্যাংশের বোনাস শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে পাঠিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
সূত্র মতে, সমাপ্ত হিসাববছরের বোনাস শেয়ার সিডিবিএলের মাধ্যমে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে পাঠিয়েছে কোম্পানিটি।
উল্লেখ্য, আলোচ্য বছরে পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ৩ শতাংশ বোনাস।
পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স ১৯৯৫ সালে দেশের পুঁজিবাজারে ইন্স্যুরেন্স খাতে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০০ কোটি টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৫৯৮.১৩ কোটি টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৫৯,৮১২,৫০৬টি। এর মধ্যে ৩১ দশমিক ৫৮ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ২৩দশমিক ৫০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ০.০১ বিদেশী বিনিয়োগকারি ও বাকি ৪৪ দশমিক ৯১শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
কোম্পানি গত ০৩ সেপ্টেম্বর ২৩ সবশেষ এজিএম করে সে সময় ৭ শতাংশ নগদ এবং ৩ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এর আগে পযায়ক্রমে 110% 2021, 5% 2020, 10% 2019, 12% 2018 নগদ এবং বোনাস শেয়ার 3% 2022, 5% 2020, 12% 2017, 10% 2016, 12% 2015, 15% 2014, 15% 2013, 10% 2012, 10% 2011, 15% 2010, 10%B 2009, 10% 20084 লভ্যাংশ প্রদান করেছে। এছাড়া ২০১৩ সালে ২:১ রাইট শেয়ার ঘোষনা করেছিল।
উসমানিয়া গ্লাসের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ
সিসিএন ডেস্ক : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিদর্শক দল শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত উসমানিয়া গ্লাসের কার্যক্রমও বন্ধ পেয়েছে। ডিএসই বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে।
ডিএসই জানিয়েছে, তাদের একটি পরিদর্শক দল উসমানিয়া গ্লাসের বর্তমান কার্যক্রম দেখার জন্য কোম্পানির কারখানা ২৬ সেপ্টেম্বর পরিদর্শনে যায়। ডিএসই পরিদর্শন দল কোম্পানিটির কার্যক্রম বন্ধ পেয়েছে।
শেয়ারবাজারের বেঁধে দেওয়া নিয়ম প্রতিপালন, কারসাজি, উৎপাদনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে তালিকাভুক্ত ১৪ কোম্পানি পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসই। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ডিএসইর এই সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেয়।
এরপর ডিএসইর পরিদর্শক দল নর্দার্ণ জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি, দুলামিয়া কটন এবং রিজেন্ট টেক্সটাইলের বর্তমান উৎপাদন অবস্থা দেখতে কারখানা পরিদর্শনে যায়। পরিদর্শনে এই তিন কোম্পানির কারখানা বন্ধ পায় ডিএসই।
ডিএসই পরিদর্শনের অনুমতি পাওয়া অন্য কোম্পানিগুলো হলো – ফরচুন সুজ, ন্যাশনাল ফিড মিলস, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, ফ্যামিলি টেক্সটাইল, কেয়া কসমেটিকস, খান ব্রাদার পিপি, ঢাকা ডাইং, জাহিন স্পিনিং এবং জাহিন টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি পাচ্ছে লিন্ডে বাংলাদেশ
লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অবস্থিত মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি বরাদ্দ পাচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ কোম্পানিটিকে জমির প্রাথমিক বরাদ্দপত্র প্রদান করেছে।
তথ্য অনুসারে, আলোচিত অর্থনৈতিক অঞ্চলে কোম্পানিটিকে ৫ একর জমি বরাদ্দ করবে অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ। এ জমিতে লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড নতুন একটি কারখানা স্থাপন করবে। জমি বরাদ্দের বিষয়ে আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের সাথে কোম্পানিটির একটি চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৬ কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৬ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদন করা হয়। একই সঙ্গে লভ্যাংশের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এপেক্স ফুটওয়্যারের লভ্যাংশ ঘোষণা
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত চামড়া খাতের কোম্পানি এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৪৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এরমধ্যে ৩৫ শতাংশ নগদ এবং ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ৩০ জুন ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ৮৬ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১০ টাকা ৬৪ পয়সা।
এছাড়া, ৩০ জুন ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩৯ টাকা ৬৪ পয়সা। এই লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ২৮ নভেম্বর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করবে কোম্পানিটি। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৮ অক্টোবর।
নাহী অ্যালুমিনিয়ামের লভ্যাংশ ঘোষণা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি নাহী অ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট প্যানেল লিমিটেড গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২.৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮০ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ২ টাকা ৮৮ পয়সা।
গত ৩০ জুন ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৯ টাকা ৬ পয়সা।
কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ অক্টোবর।
বিবিএসের নো ডিভিডেন্ড ঘোষণা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড (বিবিএস) গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেবে না।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ১ টাকা ১ পয়সা লোকসান দিয়েছে। আগের বছর শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৬৫ পয়সা আয় করেছিল। গত ৩০ জুন ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৬ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ অক্টোবর।
নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ই-জেনারেশন
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত তথ্য প্রযুক্তি খাতের কোম্পানি ই-জেনারেশন লিমিটেড গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে। তবে কোম্পানির উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার ও পরিচালকরা কোনো লভ্যাংশ নেবেন না। ইতোপুর্ও
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ১ টাকা ৪৫ হয়েছে। আগের বছর ইপিএস ছিল ১ টাকা ৪৩ পয়সা। গত ৩০ জুন ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২২ টাকা ৫০ পয়সা।কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ নভেম্বর।
বিবিএস ক্যাবলসের লভ্যাংশ ঘোষণা
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বিবিএস ক্যাবলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ৩০ জুন ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৬ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৩ টাকা ৮১ পয়সা। এছাড়া, ৩০ জুন ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ৯৯ পয়সা। এই লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ২৩ নভেম্বর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করবে কোম্পানিটি। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২২ অক্টোবর।
বে-লিজিং এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড
গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত বে-লিজিং এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। আজ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভায় সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে লভ্যাংশ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।