খালেদ চৌধুরী : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এমারেল্ড অয়েলের পরিচালনা পর্ষদ রাইস ব্রান অয়েল এবং কার্ড অয়েল উৎপাদন করবে।
এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও মিনোরি বাংলাদেশ লিমিটেডের সঙ্গে যমুনা এডিবল অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুসারে যমুনা এডিবল অয়েলের কারখানা ব্যবহার করবে এমারাল্ড অয়েল। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল হোসেন, মিনোরি বাংলাদেশের পক্ষে মিয়া মামুন ও যমুনা এডিবল অয়েলের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লুৎফর রহমান।
এমারাল্ড অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, ‘এ চুক্তির ফলে আমাদের উৎপাদন সক্ষমতা আরো বাড়বে। আমরা যমুনা এডিবল অয়েল মিলে প্রতিদিন ৬০০ টন ব্র্যান ক্রাশিং করতে পারব। এতে বছরে আমাদের টার্নওভার হাজার কোটি টাকায় পৌঁছবে এবং বছরে ৩০ কোটি টাকার বেশি মুনাফা করতে পারব বলে আশা করছি।’
মিনোরি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিয়া মামুন বলেন, ‘আমরা যৌথভাবে যমুনা এডিবল অয়েল কোম্পানির সঙ্গে কাজ করব। এতে মিনোরি প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান দেবে। আর পরিচালনায় থাকবে এমারাল্ড অয়েল। ফলে তিনটি কোম্পানিই মুনাফা করতে পারবে। রাজশাহীতে ধানের কুঁড়া সহজলভ্য হওয়ায় আমরা কৃষকের কাছ থেকে এটি সংগ্রহ করতে পারব। এতে রাইস ব্র্যান অয়েলে ফ্রি-ফ্যাটি অ্যাসিডের উপস্থিতি কম থাকবে। ফলে জাপানে তেল রফতানি সহজ হবে।’
অনুষ্ঠানে যমুনা এডিবল অয়েলের কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘কারখানা চলমান রয়েছে। আমাদের উন্নত প্রযুক্তির অভাব রয়েছে। জাপানি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কাজ করতে পারলে আমরা উন্নত প্রযুক্তি পাব। ফলে আমরা আরো লাভবান হতে পারব।’
সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) এমারাল্ড অয়েলের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৮ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছিল ৩৬ পয়সা।
এমারাল্ড অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, আমরা যমুনা এডিবল অয়েল মিলে প্রতিদিন ৬০০ মে. টন ব্রান (কুঁড়া) ক্রাসিং করতে পারব। এর ফলে বছরে আমাদের টার্নওভার হাজার কোটি টাকায় পৌঁছাবে। এতে এমারেল্ড ওয়েলের বছরে ৩০ কোটি টাকার বেশি মুনাফা করতে পারবে বলে আশা করছি।
মিনোরি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিয়া মামুন বলেন, আমরা যৌথভাবে যমুনা এডিবল অয়েল কোম্পানির সঙ্গে কাজ করব। এতে মিনোরি প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দেবে। আর পরিচালনায় থাকবে এমারেল্ড অয়েল। ফলে তিনটি কোম্পানিই মুনাফা করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহীতে ধানের কুঁড়া সহজলব্য হওয়ায় আমরা কৃষকের কাছ থেকে এটি সংগ্রহ করতে পারব। এতে রাইস ব্রান অয়েলে ফ্রি-ফ্যাটি এসিডের উপস্থিতি কম থাকবে। ফলে জাপানে তেল রপ্তানি সহজতর হবে।
অনুষ্ঠানে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে যমুনা এডিবল অয়েলের কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লুৎফর রহমান বলেন, ফ্যাক্টরি চলমান থাকলেও আমাদের উন্নত প্রযুক্তির অভাব রয়েছে। জাপানি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কাজ করতে পারলে আমরা উন্নত প্রযুক্তি পাব। ফলে আমরা আরও লাভবান হতে পারব।
এই সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, এমারাল্ড অয়েলের কোম্পানি সচিব মো. এমরান হোসাইন, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম, ফু-ওয়াং ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক মো. সিদরাতুল মাহবুব, কোম্পানি সচিব শরীফ মাহমুদ প্রমুখ।