পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ নিলামে ৩৭ শতাংশ জমি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তথ্যানুসারে, জমিটি নিলামে তুলেছিল ঢাকায় ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের প্রগতি সরনি শাখা। জমিটি কিনতে নিবন্ধন ও আনুষঙ্গিক ব্যয়ের জন্য অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজকে আরো ১৩ লাখ ৪১ হাজার ২৫০ টাকা গুনতে হবে।
মোট জমি কিনতে কোম্পানিটির ব্যায়ের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ১ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ২৫০ টাকা।
অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ আরও ৩০.৭৫ ডেসিমেল জমি সোনারগাঁও উপজেলায় বিস্কুট অ্যান্ড কনফেকশনারি ইউনিটের পাশে কিনবে। রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য খরচসহ জমি কিনতে কোম্পানিটির মোট ১ কোটি ৫৮ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ব্যয় হবে।
অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৩০ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫ টাকা ১২ পয়সা। এদিকে চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৫১ পয়সা। এ বছরের ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৯ টাকা ৬৩ পয়সায়।
সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৪৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬ টাকা ৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১০ টাকা ১৯ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৪৬ টাকা ৮৪ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১০ টাকা ১৯ পয়সায়।
সর্বশেষ ক্রেডিট রেটিং অনুসারে, কোম্পানিটির ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ট্রিপল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-ওয়ান’। সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে এ প্রত্যয়ন করে ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিংস লিমিটেড (এনসিআর)। এর আগে সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১০ টাকা ১৯ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ১০ টাকা ১৩ পয়সা।