সিসিএন ডেস্ক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিনের নির্দেশ অনুযায়ী ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড এর ট্রেকহোল্ডার কোম্পানি ক্রেষ্ট সিকিউরিটিজ লিঃ, বাঙ্কো সিকিউরিটিজ লিমিটেড, তামহা সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং শাহ মোহাম্মদ সগীর অ্যান্ড কো. লিমিটেড-এর যেসব ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারী ১ অক্টোবর ২০২৩ তারিখের মধ্যে ডিএসইতে অভিযোগ দাখিল করেছেন শুধুমাত্র সেইসব বিনিয়োগকারীদেরকে ইনভেস্টরস প্রোটেকশন ফান্ড (IPF) থেকে ২৫ কোটি টাকা তাদের নিজ নিজ বিও হিসাবে উল্লেখিত ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে আনুপাতিক হারে প্রাপ্য অর্থ প্রদানের কার্যক্রম শুরু হয়েছে৷ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা খাইরুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ এর তত্ত্বাবধানে আজ ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে দুজন বিনিয়োগকারীর হাতে দুইটি চেক হস্তান্তরের মাধমে চারটি ব্রোকারেজ হাউজের ৪,৫৮১ জন ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীকে আনুপাতিক হারে BEFTIN এর মাধ্যমে ২৫ টাকা কোটি পরিশোধ করবে৷
চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি’র কমিশনার জনাব মোঃ আব্দুল হালিম, ডিএসই’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান, সিপিএ, প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা জনাব খায়রুল বাসার আবু তাহের মোহাম্মদ, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা সাত্বিক আহমেদ শাহসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ৷
চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানের শুরুতেই ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান বলেন, আজ আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে আপনাদের হাতে কিছু টাকার চেক তুলে দিতে পারছি৷ আমরা আশা করছি পর্যায়ক্রমে সকল বিনিয়োগকারীদের পাওনা পরিশোধ করতে পারবো৷ আমি বিশ্বাস করি, এর মাধ্যমে বাজারে একটা ইতিবাচক বার্তা যাবে। আমরা সকল পাওনা পরিশোধের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি৷ বিনিয়োগকারীরা যেন এধরণের ঘটনায় ভবিষ্যতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সে বিষয়েও আমরা সতর্ক রয়েছি৷ এটি খুবই আনন্দের বিষয় যে, কমিশনের কমিশনার জনাব মোঃ আব্দুল হালিম যিনি এই ফান্ড (ইনভেস্টরস প্রোটেকশন ফান্ড) থেকে বিনিয়োগকারীগণ যেন টাকা পায়, সেই বিষয়ে তত্পর ছিলেন। আজ তার উপস্থিতিতেই বিনিয়োগকারীদের টাকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হলো৷ জনাব তারিকুজ্জামান বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকেও ধন্যবাদ জানান এবিষয়ে তত্পর থাকার জন্য৷
বিএসইসি কমিশনার জনাব মোঃ আব্দুল হালিম বলেন, অল্প কিছু হলেও ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীদের দিতে পারছি, এটা আনন্দের। তবে আইন-কানুন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আরও সক্রিয় হতে হবে। যেন কেউ কোনো বিনিয়োগকারীর টাকা আত্মসাত্ করতে না পারে। বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দিতে পারলে পুঁজিবাজারে আস্থা বাড়বে। এই চারটি প্রতিষ্ঠানে টাকা আত্মসাতের পর নতুন করে কেউ আর আত্মসাত্ করতে পারেনি। এটা বন্ধ করতে নতুন আইন করতে হয়নি। আইনের যথাযথ প্রয়োগ করে, মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। যেন ভবিষ্যতে আর কেউ অর্থ আত্মসাত্ করতে না পারে।
ডিএসই’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মোহাম্মদ হাসান বাবু বলেন, ডিএসইতে একটা যাত্রা শুরু হলো৷ বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা দরকার আছে৷ অল্প পরিসরে হলেও আমরা প্রমাণ করতে পারলাম, আমরা বিনিয়োগকারীদের কথা চিন্তা করি, আমরা বিনিয়োগকারী বান্ধব৷ তাদেরকে সাথে নিয়ে চলতে চাই৷ আজকের এই চেক হস্তান্তর বাজারের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ৷কারণ আমরা শুধু বড় বড় বিনিয়োগকারীদের কথা ভাবি না, ছোট ছোট বিনিয়োগকারীদের কথাও চিন্তা করি৷
