খালেদ চৌধুরী : পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের কোম্পানি ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এই লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ১২ ডিসেম্বর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করবে কোম্পানিটি। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৩ অক্টোবর।
এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৪২ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৩ টাকা ৩৪ পয়সা। এছাড়া, ৩০ জুন ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮৮ টাকা ৫১ পয়সা।
২০১২ সালে কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে গত অর্থবছরগুলোতে যেমন- ২০২২ সালে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০২১ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০২০ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০১৯ সালে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০১৮ সালে ২২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০১৭ সালে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০১৬ সালে ২২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০১৪ সালে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০১৩ সালে ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ এবং ২০১২ সালে ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করেছে। এছাড়া ২০১১ সালে কোম্পানি ১৫ শতাংশ বোনাস ঘোষনা করেছি।
কোম্পানিটি ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগের বছর ২০২২ সালে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। আগের বছরের তুলনায় এবছর কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড বেড়েছে ৩৩.৩৩ শতাংশ।
৩০ জুন ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৪২ পয়সা। এরমধ্যে কোম্পানিটির ব্যবসায়িক কার্যক্রম থেকে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ০৬ পয়সা। কোম্পানিটির রাজস্ব আগের বছরের তুলনায় ৫৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।কোম্পানিটির একটি বড় মুনাফা এসেছে শেয়ারবাজারে চাটার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারে বিনিয়োগ করে। এ কোম্পানিতে বিনিয়োগে ১৫ কোটি ৪৫ লাখ ৭৭ হাজার ১৩০ টাকা মুনাফা করেছে। এতে করে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৫৩ পয়সা।
এছাড়াও , কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২৩ সমাপ্ত বছরে ইউনিক মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেডের ২.৪৫ শতাংশ সাধারণ শেয়ার বিক্রি করে মূলধন রেকর্ড মূলধন লাভ করেছে। যার পরিমাণ ১১২ কোটি ৮৭ লাখ ৫৪ হাজার ৪৬৫ টাকা। এতে করে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ৩ টাকা ৮৩ পয়সা।
চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টসের আয় হয়েছে ৪০ কোটি ১২ লাখ টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৫ পয়সা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ৮ পয়সা লোকসান হয়েছিল। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮৭ টাকা ৭৮ পয়সা। সুত্রমতে দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির মালিকানাধীন দ্য ওয়েস্টিন ও হানসা থেকে ভালো আয় হয়েছে। শুধু গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ওয়েস্টিন হোটেল একাই ২৩ কোটি টাকা আয় করেছে।ফলে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) রেকর্ড পরিমাণ ৬ টাকা ৪২ পয়সা হয়েছে। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৩৪ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৮৮ টাকা ৫১ পয়সা।
২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ২৯৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ৬৭৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ২৯ কোটি ৪৪ লাখ। এর ৪৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। এছাড়া ২৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক ৫৬ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ২৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।