শেয়ার বাজার

“Long Term Financing: A Critical Assessment of Bond Market in Bangladesh and Way Forward” শীর্ষক ফোকাস গ্রুপ মিটিং

“Long Term Financing: A Critical Assessment of Bond Market in Bangladesh and Way Forward” শীর্ষক ফোকাস গ্রুপ মিটিং
পুঁজিবাজার

সিসিএন ডেস্ক : দীর্ঘমেয়াদে অর্থায়নের ক্ষেত্রে বন্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। বাংলাদেশের বন্ড মার্কেট উন্নয়নের জন্য পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকলে একসাথে কাজ করছে। এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের উদ্যোগের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে ডিএসই টাওয়ারের ডিএসই লাউঞ্জে “Long Term Financing: A Critical Assessment of Bond Market in Bangladesh and Way Forward” শীর্ষক ফোকাস গ্রুপ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহাম্মাদ হাসান বাবুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার মোঃ আব্দুল হালিম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম. সাইফুর রহমান মজুমদার, এফসিএ, এফসিএমএ। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি, মার্চেন্ট ব্যাংক, আইসিবি, আইসিএবি, আইসিএমএবি, ডিবিএ ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান, সিপিএ। স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের আজকের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও সময়পোযোগী। আমাদের বন্ড মার্কেটটি অন্যান্য দেশের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে। বর্তমানে ডিএসইতে মাত্র ১৩ টি কর্পোরেট বন্ড আছে। এই বিষয়টি এখনো জনপ্রিয় করতে পারেনি। এখানে উন্নয়নের অনেক সুযোগ  রয়েছে। আমরা দেখেছি বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করছে। মিনিসিপাল বন্ড থেকে  বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজে অর্থের যোগান দেয়া হয় এবং বাজেট উন্নয়নেও সহায়তা করতে পারে। পরিশেষে তিনি সবাইকে স্বাগত জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইবিএম এর অধ্যাপক ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জী। মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদী ঋণের প্রয়োজনীয়তা, বর্তমান দীর্ঘ মেয়াদী অর্থায়নের উৎসসমূহ, ইক্যুইটি ও বন্ড মার্কেটের বর্তমান অবস্থা, বাংলাদেশ ও পাশ^বর্তী দেশগুলোর আর্থিক কাঠামো, বাংলাদেশ ও পাশ^র্বর্তী দেশগুলোর বন্ড মার্কেটের আকার, বাংলাদেশের জিডিপি অনুপাতে সরকারী ও কর্পোরেট বন্ডের হার, বাংলাদেশে সরকারী বন্ড এবং বন্ডের ক্লিয়ারিং এবং সেটেলমেন্ট সিস্টেম নিয়ে আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তাগন বন্ড মার্কেটের প্রয়োজনীয়তা, সুযোগ সুবিধা, বাধাসমূহ, বন্ডের চাহিদা ও যোগান বৃদ্ধির জন্য করণীয়, আইনকানুনসমূহের প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং বন্ড মার্কেটের আন্তর্জাতিক সর্বোত্তম অনুশীলন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএসইসি’র কমিশনার মোঃ আব্দুল হালিম বলেন, যদি আমরা সবাই মিলে যদি চিন্তা করি বন্ড মার্কেটকে শক্তিশালী করবো তাহলে বন্ড মার্কেটকে শক্তিশালী করা সম্ভব। আমাদের দেশে অনেক ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেছি। আমাদের পুঁজিবাজারের ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য বিএসইসি সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এজন্য প্রয়োজনীয় আইনগুলো সংস্কার করা হয়েছে। বন্ড মার্কেটের উন্নয়নের জন্য আমাদের লক্ষ্য ও টাইমফ্রেম নির্ধারণ করে কাজ করতে হবে। এর মাধ্যমে আমরা বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন হবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহাম্মাদ হাসান বাবু সমাপনী বক্তেব্যে বলেন, বাংলাদেশে বন্ড মার্কেট চালু রয়েছে অনেক দিন হয়ে গেছে। আমরা সেই অনুযায়ী উন্নতি করতে পারিনি। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের উন্নতি করতে হলে অবকাঠামো খাতে ৬০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে হবে। এর মধ্যে ২০০ বিলিয়ন ডলারের এখনও সংস্থান হয়নি। আর এটি আমরা বন্ড মার্কেটের মাধ্যমে করতে পারি। তিনি আরও বলেন, উন্নত বিশে^র মতো আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেটের মাধ্যমে দীর্ঘ মেয়াদে অর্থায়ন করতে হবে। আর এজন্য পুঁজিবাজারের উন্নয়ন করতে হবে। আর বন্ড মার্কেটের উন্নয়নের জন্য আমাদের একটি রোড ম্যাপ ও একটি ইম্পলিমেন্টেশন প্ল্যান প্রয়োজন। এছাড়াও সুশাসন না থাকলে বন্ডের ক্ষেত্রে কোন গ্যারান্টি কাজে আসবে না। তাই আমাদের সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আশা করি সরকার মার্চেন্ট ব্যাংক, ইন্সুরেন্স, রেগুলেটরি বডির সাথে আলোচনা করে বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন করতে হবে। এছাড়াও তিনি রেগুলেটরি অথরিটির মধ্যে সমন্বয়ের জন্য আলোচনার  গুরুত্বারোপ করেন।