বাজেটে আমাদের পক্ষে কিছু দেখিনি। তবে একটা জিনিস উনারা বলেছেন, ডিজিটাল ব্যাংক উনারা ইস্যু করবেন। আমরা এটাকে দেশের উদ্ভাবনী উদ্যোগ বলে মনে করি। অনেক দেশেই ডিজিটাল ব্যাংকিং হয়ে গেছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও অনেকটা বাস্তবায়ন হয়েছে। একটা গাইডলাইন ইস্যু হলে নতুন করে এখানে বিনিয়োগ আসবে। তাহলে ডিজিটাল ভিত্তিটা আরও মজবুত হবে। এটা একটা পজিটিভ দিক।
আমাদের বাজেট ঘাটতির একটা বড় অংশই আসবে ব্যাংক খাত থেকে। এতটা বরোয়িং (ঋণ নেওয়া) হলে ব্যাংক খাতের ওপর একটা চাপ পড়তে পারে। ব্যাংকিং সেক্টরে চাপ পড়া মানে বেসরকারি খাতে চাপ পড়া। এতে দেশের কর্মসংস্থান কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তা ছাড়া আমাদেরও কিছু চাওয়া পাওয়া ছিল। কিন্তু তার কিছুই দেখা যায়নি বাজেটে। এর মধ্যে ট্যাক্স রিটার্নের প্রমাণের ক্ষেত্রে নির্দেশনা এসেছে। আমার মনে হয় এখানে যদি একটা মিনিমাম থ্রেশহোল্ড বা সময়সীমা দেওয়া হতো তাহলে ভালো হতো। ক্ষুদ্র ও অতি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা একটা সময় পেত। ধাপে ধাপে এই রেগুলেশনটা বাস্তবায়ন করার পরামর্শ ছিল আমাদের। একবারে বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে আমাদের অনেক গ্রাহককে নিরুৎসাহিত করবে।
আমরা যদি ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীত হতে চাই তাহলে কার্ডের ব্যবহার অনেক বাড়াতে হবে। ক্রেডিট, ডেবিট কার্ডকে সহজলভ্য করতে হবে। আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে ব্যাংকমুখী করতে হবে। রিটার্নের প্রমাণপত্র নিতে যদি ট্যাক্স দিতে হয় তাহলে বিষয়টা কঠিন হবে। এটা যদি ধাপে ধাপে করা যেত তাহলে ভালো হতো।
চেয়ারম্যান, এবিবি ও এমডি, ব্র্যাক ব্যাংক