আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে মোট ৩০০টি কোম্পানির ৮ কোটি ৪০ লক্ষ ৭৬ হাজার ২৫৫টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। ডিএসইতে আজ মোট লেনদেনের পরিমাণ ৪৪১ কোটি ২৭ লক্ষ ৫০ হাজার ১৫৩ টাকা।
ডিএসই ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইএক্স) আগের কার্যদিবসের চেয়ে সূচক ১.৮৪ পয়েন্ট বেড়ে ৬২৮২.৭৮ পয়েন্ট, ডিএস—৩০ মূল্য সূচক ১.৫৫ পয়েন্ট কমে ২১৩৫.৩১ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক (ডিএসইএস) ০.৬৪ পয়েন্ট বেড়ে ১৩৫৯.৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেনকৃত কো¤পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮২টির, কমেছে ৬২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫৬টি কোম্পানীর শেয়ার। ডিএসই’র বাজার মূলধন:— ৭৭৭৫৯৭১৮৬৪১১২.০০।
লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো:— ইউনিয়ন ইন্সু্যরেন্স, বিডিকম অনলাইন, ফু—ওয়াং ফুড, খান ব্রাদার্স পিপি, জেমিনী সী ফুড, ক্রিস্টাল ইন্সু্যরেন্স, কর্ণফূলী ইন্সু্যরেন্স, প্রভাতী ইন্সু্যরেন্স, সোনালী পেপার ও ইস্টার্ন হাউজিং।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো:— খান ব্রাদর্স পিপি, অ্যাম্বী ফার্মা, ওআইমেক্স ইলেক্ট্রোড, কর্ণফূলী ইন্সু্যরেন্স, খুলনা প্রিন্টিং, স্ট্যান্ডার্ড ইন্সু্যরেন্স, বিজিআইসি, কন্টিনেন্টাল ইন্সু্যরেন্স, ডেফোডিল কম্পিউটার ও প্রভাতী ইন্সু্যরেন্স।
দর কমার শীর্ষে প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো:— লিগ্যাসী ফুটওয়্যার, ট্রাস্ট ইসলমি লাইফ ইন্সু্যরেন্স, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, অ্যাপেক্স স্পিনিং, প্রগতী লাইফ ইন্সু্যরেন্স, পাইওনিয়ার ইন্সু্যরেন্স, ইন্ট্র্যাকো রিফুয়েলিং, জিকিউ বলপেন ও রিলায়েন্স ইন্সু্যরেন্স।
পরিচালনা পর্ষদের সভা
দেশবন্ধু পলিমার : আগামী ০২ অক্টোবর বিকাল ৩ টায় দেশবন্ধু পলিমারের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্র জানায়, আলোচ্য সময় কোম্পানির সভায় ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে সমাপ্ত হিসাব বছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদন সাপেক্ষে তা প্রকাশ করবে পাশাপাশি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশের ঘোষণা আসতে পারে। আগের বছর ১৪ ডিসেম্বর ২২ কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। কোম্পানিটি ২০১১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকে পর্যায়ক্রমে ২০২১ সালে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০২০ সালে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০১৯ সালে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, ২০১৮ সালে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ এবং ২০১৫১ সালেও ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করেছিল এবং ২০১৭ সালে ১০ শতাংশ বোনাস, ২০১৪ সালে ১০ শতাংশ বোনাস, ২০১৩ সালে ৫ শতাংশ বোনাস, ২০১২ সালে ৫ শতাংশ বোনাস এবং ২০১১ সালে ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ প্রদান করেছিল।
২ কোম্পানির নাম পরিবর্তনের অনুমতি
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এনার্জি প্যাক পাওয়ার জেনারেশন ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের নাম পরিবর্তনের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
জানা গেছে, এখন থেকে ‘এনার্জি প্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড’-এর পরিবর্তে ‘ এনার্জি প্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি’ হবে। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে কোম্পানিটি এনার্জি প্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি নামে পুঁজিবাজারে লেনদেন করবে। এছাড়া কোম্পানিটির অন্যান্য বিষয় অপরিবর্তিত থাকবে। এছাড়া ‘এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড’-এর পরিবর্তে ‘ এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি’ হবে। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে কোম্পানিটি এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি নামে পুঁজিবাজারে লেনদেন করবে। এছাড়া কোম্পানিটির অন্যান্য বিষয় অপরিবর্তিত থাকবে।
মূল্য বৃদ্ধির কারন জানানেই ৩ কোম্পানির
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইমাম বাটন, স্যামপুর সুগার ও ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির কারণ জানে না বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) জানিয়েছে।
জানা গেছে, কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ২১ সেপ্টেম্বর ইমাম বাটনকে এবং ২৪ সেপ্টেম্বর স্যামপুর সুগার ও ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড কে ডিএসই কোম্পানি নোটিশ পাঠায়। এর জবাবে কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোনো রকম অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই কোম্পানি শেয়ার দর এভাবে বাড়ছে।
ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের ইলেক্ট্রনিক সাবস্ক্রিপশনের জন্য ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর
গতকাল ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখে ডিএসই টাওয়ার, নিকুঞ্জে ইলেক্ট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমের (ঊষবপঃৎড়হরপ ঝঁনংপৎরঢ়ঃরড়হ ঝুংঃবস) মাধ্যমে ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের ইলেক্ট্রনিক সাবস্ক্রিপশনের জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, চট্টগ্রম স্টক এক্সচেঞ্জ এবং ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের মধ্যে একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ডিএসই’র প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা খায়রুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ, সিএসই’র উপ মহাব্যবস্থাপক হাসনাইন বারী, ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম মাহফুজুর রহমান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় ডিএসই, সিএসই, ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের সাবস্ক্রিপশন ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখে শুরু হয়ে ১ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে।
রাইস ব্রান অয়েল এবং কার্ড অয়েল উৎপাদন করবে এমারল্ড অয়েল
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এমারেল্ড অয়েলের পরিচালনা পর্ষদ রাইস ব্রান অয়েল এবং কার্ড অয়েল উৎপাদন করবে।
সূত্র জানায়, এ কারণে কোম্পানিটি যমুনা এডিবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের সাথে একটি চুক্তি সম্পন্ন করেছে। কোম্পানিটি ফিনিশড রাইস ব্রান অয়েল এবং কার্ড অয়েল উৎপাদন করবে; যা লোকাল মার্কেটে বাজারজাত করবে এবং জাপানের মার্কেটে রপ্তানি করবে।
এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও মিনোরি বাংলাদেশ লিমিটেডের সঙ্গে যমুনা এডিবল অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুসারে যমুনা এডিবল অয়েলের কারখানা ব্যবহার করবে এমারাল্ড অয়েল।
এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল হোসেন, মিনোরি বাংলাদেশের পক্ষে মিয়া মামুন ও যমুনা এডিবল অয়েলের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লুৎফর রহমান।
এমারাল্ড অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, ‘এ চুক্তির ফলে আমাদের উৎপাদন সক্ষমতা আরো বাড়বে। আমরা যমুনা এডিবল অয়েল মিলে প্রতিদিন ৬০০ টন ব্র্যান ক্রাশিং করতে পারব। এতে বছরে আমাদের টার্নওভার হাজার কোটি টাকায় পৌঁছবে এবং বছরে ৩০ কোটি টাকার বেশি মুনাফা করতে পারব বলে আশা করছি।’
আলিফ গ্রুপের দুই কোম্পানি একীভূত হচ্ছে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের দুই কোম্পানি আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও আলিফ ম্যানুফেক্চারিং কোম্পানি লিমিটেড একীভূত হচ্ছে। মূলত আলিফ ম্যানুফেক্চারি কোম্পানি তালিকাভুক্ত অপর কোম্পানি আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজে একীভূত হবে। একীভূতকরণের পর কোম্পানিটি আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ নামে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
জানা গেছে, পরিচালনা পর্ষদ ২৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সাথে আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসিতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি, যার ফলে আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সাথে একীভূত হবে। ব্যাংক, নানা ধরণের পাওনাদার ও শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি এবং হাইকোর্টের অনুমতি সাপেক্ষে আলোচিত সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।