আজ মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের উভয় শেয়ারবাজারের সুচক সামান্য বেড়েছে। শেয়ারবাজারের প্রধান প্রধান সূচক বেড়েছে। আর যে পরিমাণ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে তার চেয়ে বেশি সংখ্যক কোম্পানির দর কমেছে। সূচকের সাথে টাকার পরিমাণে লেনদেনও আগের কার্যদিবস থেকে কিছুটা বেড়েছে।
আজ প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১.০২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২৮৩.৮০ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ০.৩১ পয়েন্ট এবং ডিএসই—৩০ সূচক ৩.১৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে একহাজার ৩৫৯.৬৩ পয়েন্টেএবং দুইহাজার ১৩৮.৫০ পয়েন্টে।
ডিএসইতে ২৮৭টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৯টির বা ২৪.০৪ শতাংশের দর বেড়েছে। শেয়ার দর কমেছে ৭৮টির বা ২৭.১৮ শতাংশের এবং ১৪০টির বা ৪৮.৭৮ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
ডিএসইতে আজ ৪৫০ কোটি ০১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৪৪১ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
এদিন শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৩.৮৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৮৪.১৭ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসসিএক্স ২.২৩ পয়েন্ট, সিএসই—৩০ সূচক ৬.১৬ পয়েন্ট, সিএসই—৫০ সূচক ০.৭৮ পয়েন্ট এবং সিএসআই ০.৬৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১ হাজার ১১০.৩০ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৫১.০১ পয়েন্টে, একহাজার ৩০৬.১২ পয়েন্টে এবং একহাজার ১৬৮.৩৬ পয়েন্টে।
আজ সিএসইতে ১৪৬টি প্রতিষ্ঠানে লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫১টির, কমেছে ৪২টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৩টি প্রতিষ্ঠানের। এদিন সিএসইতে ১৫ কোটি ২৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।
৩ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভা
এডিএন টেলিকম : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিকমিউনিকেশন খাতের কোম্পানি এডিএন টেলিকম লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ৪ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৩টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্র জানায়, আলোচ্য সময় কোম্পানির সভায় ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে সমাপ্ত হিসাব বছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদন সাপেক্ষে তা প্রকাশ করবে পাশাপাশি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশের ঘোষণা আসতে পারে। আগের বছর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিলো।
এ্যাপেক্স ফুড ও এ্যাপেক্স স্পিনিং : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ্যাপেক্স গ্রুপের কোম্পানি দুটি এ্যাপেক্স ফুড ও এ্যাপেক্স স্পিনিং এর পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ৩ অক্টোবর বিকাল ৩টা ও বিকাল সাড়ে ৩টায় কোম্পানিটি দু’টির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্র জানায়, আলোচ্য সময় কোম্পানির সভায় ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে সমাপ্ত হিসাব বছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদন সাপেক্ষে তা প্রকাশ করবে পাশাপাশি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশের ঘোষণা আসতে পারে।
১৯৮১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এ্যাপেক্স ফুড কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিলপর্যায়ক্রমে— ২০ শতাংশ ২০২২, ২০ শতাংশ ২০২১, ১৫ শতাংশ ২০২০, ২০ শতাংশ ২০১৯, ২০ শতাংশ ২০১৮।
আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রেরণ
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের প্রতিষ্ঠান আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ ও বোনাস শেয়ার সংশ্লিষ্ট শেয়ারহোল্ডারদের ব্যাংক হিসাবে এবং বিও একাউন্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, কোম্পানিটির নগদ লভ্যাংশ বাংলাদেশ ইলেক্ট্রনিক ফান্ডস ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের (বিইএফটিএন) মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের ব্যাংক হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১৬ আগস্ট ২০২৩ সালে বোর্ড সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১২ শতাংশ নগদ এবং ৩ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানটি ধারাবাহিক ভাবে বোনাস ও নগদ লভ্যাংশ ঘোষনা করে।
ইফাদ অটোসের বন্ডে আবেদনের মেয়াদ বাড়লো
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ইফাদ অটোসের ৩০০ কোটি টাকা সমমূল্যের বন্ড ইস্যুর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। কোম্পানিটির আলোচ্য নন—কনভার্টেবল, সিকিউরিড, ফ্লোটিং রেট কুপন বিয়ারিং কর্পোরেট বন্ড ইস্যুর মেয়াদ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
তথ্য মতে, বিএসইসি ইফাদের বন্ডে আবেদনের জন্য আরও ৬ মাস সময় বাড়িয়েছে। এছাড়া বন্ড ইস্যুর অন্যান্য তথ্য অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।
আলোচ্য বন্ডের সর্বনিম্ন কুপন হার ৬ শতাংশ এবং প্রতি ইউনিট অভিহিত মূল্য এক কোটি টাকা। এছাড়া বন্ডের মেয়াদ ৫ বছর। ২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকে কোম্পানিটি েশেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ ও বোনাস দিয়েছে পযায়ক্রমে ২০২২ সালে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস, ২০২১ সালে ১১ শতাংশ নগদ, ২০২০ সালে ৯ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ বোনাস, ২০১৯ সালে ১০ শতাংশ নগদ, ২০১৮ সালে ২২ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস দিয়েছে।
স্থগিত এজিএম করবে বিআইএফসি
২০২১ সালের স্থগিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স কোম্পানি।
সূত্র জানায়, সুপ্রিম কোর্ট থেকে আসা এক রায়ের ভিত্তিতে কোম্পানিটি এজিএমের আদেশ পেয়েছে। তাতে স্থগিত ২৬তম এজিএম আগামী ১৫ নভেম্বর সকাল ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের পর থেকে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোন লভ্যাংশ প্রদান করেনি।
লভ্যাংশ দেবে না মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড গত তিন অর্থবছর ২০২১ থেকে ২৩ হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোন লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সমাপ্ত ৩০ জুন ২০২৩ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৪৯ পয়সা, যা আগের বছর ৩ টাকা ৭৮ পয়সা ছিল।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৪৯ পয়সা। যেখানে আগের বছর একই সময়ে এনএভি ১৯ টাকা ৯৯ পয়সা ছিল।
সমাপ্ত ৩০ জুন ২০২২ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৪৯ পয়সা, যা আগের বছর ৩ টাকা ৭৮ পয়সা ছিল। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৪৯ পয়সা। যেখানে আগের বছর একই সময়ে এনএভি ১৯ টাকা ৯৯ পয়সা ছিল।
সমাপ্ত ৩০ জুন ২০২১ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৮৫ পয়সা, যা আগের বছর ৩ টাকা ৬২ পয়সা ছিল।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৪২ পয়সা। যেখানে আগের বছর একই সময়ে এনএভি ৩০ টাকা ৪২ পয়সা ছিল।
কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ হাইকোর্টের অনুমতি সাপেক্ষে পরবর্তীতে জানানো হবে।
কোম্পানিটি সর্বশেষ গত ২৬ ডিসেম্বর ২০ তারিখে এজিএম অনুষ্ঠিত হয়েছেল সে সময় কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
এছাড়া পর্যায়ক্রমে— ৪শতাংশ ২০১৯, ৮শতাংশ ২০১৮, ৭শতাংশ ২০১৭, ৮শতাংশ ২০১৬, ৭শতাংশ ২০১৫, ৫শতাংশ ২০১৪, ৫শতাংশ ২০১৩, ৫শতাংশ ২০১২, ৫শতাংশ ২০১১, ৫শতাংশ ২০১০, ১০শতাংশ ২০০৭ এবং ৬.২৫ শতাংশ ২০০৪ সালে প্রদান করেছিল।
মূল্য বৃদ্ধির কারন জানানেই ২ কোম্পানির
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্যামপুর সুগার ও ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির কারণ জানে না বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) জানিয়েছে।
জানা গেছে, কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ২৪ সেম্পেম্বর স্যামপুর সুগার কে এবং ২৫ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সকে ডিএসই কোম্পানি নোটিশ পাঠায়। এর জবাবে কোম্পানিটি পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোনো রকম অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই কোম্পানি শেয়ার দর এভাবে বাড়ছে।
স্পট মার্কেটে যাচ্ছে কাল ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওয়ালটন হাইটেক কোম্পানি রেকর্ড ডেটের আগে আগামীকাল ২৭ সেপ্টেম্বর, বুধবার স্পট মার্কেটে যাচ্ছে।
সূত্র জানায়, কোম্পনির স্পট মার্কেটে লেনদেন শেষ হবে আগামী ০১ অক্টোবর, রবিবার। কোম্পানিগুলোর রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ০২ অক্টোবর সমবার । আর রেকর্ড ডেটের দিন কোম্পানিগুলোর লেনদেন বন্ধ থাকবে।
রিজেন্ট টেক্সটাইলের কার্যক্রম বন্ধ
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত টেক্সটাইল খাতের কোম্পানি রিজেন্ট টেক্সটাইল এর ফ্যাক্টরি বন্ধ পেয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিদর্শক দল। নর্দার্ণ জুট ম্যানুফ্যাকচারিং এবং দুলামিয়া কটনের পর এবার রিজেন্ট টেক্সটাইলের কার্যক্রম বন্ধ পেল ডিএসই।
ডিএসই জানিয়েছে, তাদের একটি পরিদর্শক দল রিজেন্ট টেক্সটাইলের বর্তমান কার্যক্রম দেখার জন্য কোম্পানির কারখানা ২৬ সেপ্টেম্বর পরিদর্শনে যায়। ডিএসই পরিদর্শন দল রিজেন্ট টেক্সটাইলের কার্যক্রম বন্ধ পেয়েছে।
শেয়ারবাজারের বেঁধে দেওয়া নিয়ম প্রতিপালন, কারসাজি, উৎপাদনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে তালিকাভুক্ত ১৪ কোম্পানি পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসই। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ডিএসইর এই সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেয়।
এরপর ডিএসইর পরিদর্শক দল নর্দার্ণ জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি এবং দুলামিয়া কটনের বর্তমান উৎপাদন অবস্থা দেখতে কারখানা পরিদর্শনে যায়। এই দুই কোম্পানির কারখানা বন্ধ পায় ডিএসই।
ডিএসই পরিদর্শনের অনুমতি পাওয়া অন্য কোম্পানিগুলো হলো — ফরচুন সুজ, ন্যাশনাল ফিড মিলস, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, ফ্যামিলি টেক্সটাইল, কেয়া কসমেটিকস, খান ব্রাদার পিপি, ঢাকা ডাইং, উসমানিয়া গ্লাস, জাহিন স্পিনিং এবং জাহিন টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
তিন ব্যাংকের ১৬০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত তিন ব্যাংকের এক হাজার ৬০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির ৮৮৩তম কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বন্ড অনুমোদন দেয়া ব্যাংক তিনটি হলো : ওয়ান ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক এবং ডাচ—বাংলা ব্যাংক। এর মধ্যে ওয়ান ব্যাংকের ৪০০ কোটি টাকা, ব্র্যাক ব্যাংকের ৭০০ কোটি টাকা এবং ডাচ—বাংলা ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকা। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, ওয়ান ব্যাংকের ৪০০ কোটি টাকার আনসিকিউরড, নন—কনভার্টেবল, ফুল্লি রিডেম্বল, ফ্লোটিং রেট সাব—অর্ডিনেটেড বন্ড অনুমোদন করেছে। বন্ডটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের নিকট ইস্যু করা হবে। এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ লাখ টাকা। উল্লেখ্য, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ওয়ান ব্যাংক টায়ার—ওও ক্যাপিটাল বেইজ শক্তিশালী করবে। উক্ত বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে গ্রীণডেল্টা ক্যাপিটাল লিমিটেড এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এছাড়াও উক্ত বন্ডটি অলটারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।
ব্র্যাক ব্যাংকের ৭০০ কোটি টাকার নন—কনভার্টেবল, ফুল্লি রিডেম্বল, কুপন বিয়ারিং, ফ্লোটিং রেট সাব—অর্ডিনেটেড বন্ড অনুমোদন করেছে। বন্ডটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের নিকট ইস্যু করা হবে। এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ লাখ টাকা। উল্লেখ্য, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ব্র্যাক ব্যাংক টায়ার—ওও ক্যাপিটাল বেইজ শক্তিশালী করবে। উক্ত বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এছাড়াও উক্ত বন্ডটি অলটারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।
ডাচ—বাংলা ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার নন—কনভার্টেবল, ফুল্লি রিডেম্বল, আনসিকিউরড ফোরর্থ সাব—অর্ডিনেটেড বন্ড অনুমোদন করেছে। বন্ডটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের নিকট ইস্যু করা হবে। এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য এক কোটি টাকা। উল্লেখ্য, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে ডাচ—বাংলা ব্যাংক টায়ার—ওও ক্যাপিটাল বেইজ শক্তিশালী করবে। উক্ত বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স এবং অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করছে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এছাড়াও উক্ত বন্ডটি অলটারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে তালিকাভুক্ত হবে।