সিসিএন ডেস্ক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সামিট পাওয়ারের তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ আরও ৫ বছর বাড়ানো হয়েছে। কেন্দ্র তিনটি আশুলিয়া, মাধবদী ও চান্দিনায় অবস্থিত। প্রতিটি কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ১০ মেগাওয়াট।
বুধবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
কেন্দ্র তিনটি থেকে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তির মেয়াদ গত বছরের (২০২৩) ৩১ আগস্ট শেষ হয়ে যায়। নতুন করে মেয়াদ বাড়ানোর ফলে সরকার এসব কেন্দ্র থেকে আগামী পাঁচ বছর বিদ্যুৎ কিনবে। তবে “নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট” ভিত্তিতে কেন্দ্র তিনটি পরিচালিত হবে। অর্থাৎ যখন সরকারের প্রয়োজন হবে, কেবল তখনই কেন্দ্র তিনটি থেকে বিদ্যুৎ কেনা হবে। আর শুধু ওই বিদ্যুতের বিলই পাবে কেন্দ্র তিনটি।
আশুলিয়া, মাধবদী ও চান্দিনায় অবস্থিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২০০৩ সালে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১, নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এবং কুমিল্লা পল্লীর সাথে ১৫ বছরের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) অধীনে স্বাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্র (আইপিপি) হিসেবে স্থাপিত হয়। ২০১৮ সালের ৩১ আগস্ট চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তা ৫ বছরের জন্য বাড়ানো হয়। বর্ধিত চুক্তির মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট শেষ হয়ে গেলে কোম্পানিটি তা নবায়নের জন্য আবেদন করলে আজ সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে তা অনুমোদন পায়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, আশুলিয়া, মাধবদী ও চান্দিনায় ১০ (+১০%) মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং ট্যারিফ প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
তিনি জানান, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এবং নেগোসিয়েশন কমিটি কর্তৃক স্পন্সর কোম্পানির সঙ্গে নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত চুক্তির শর্ত চূড়ান্ত করে তিনটি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ ২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর থেকে ৫ বছর বৃদ্ধির জন্য সামিট পাওয়ার লিমিডেটের সঙ্গে ট্যারিফ কিলোওয়াট ঘণ্টা ৫ দশমিক ৮২ টাকা হিসেবে নো ইলেক্ট্রিসিটি, নো পেমেন্ট ভিত্তিতে সংশোধিত চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, বর্ধিত মেয়াদে (৫ বছরে) স্পন্সর কোম্পানিকে ৫৪৬ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে। বর্ণিত প্রস্তাবে ট্যারিফ আগের তুলনায় হ্রাস পাওয়ায় বর্ধিত মেয়াদে প্রায় ৬ দশমিক ৮১ কোটি টাকা ব্যয় সাশ্রয় হবে।